বিশ্বকাপ বাছাই নিয়ে বাংলাদেশের যে পরিকল্পনা

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের কঠিন পরীক্ষায় বাংলাদেশ। ফাইল ছবি
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের কঠিন পরীক্ষায় বাংলাদেশ। ফাইল ছবি
>

বিশ্বকাপের প্রাক-বাছাইয়ে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী লাওস। আগামী ৬ জুন লাওসে আর ১১ জুন ঢাকায় হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে প্রাক বাছাইয়ের দুটি ম্যাচে খেলবে জেমি ডে’র দল। এই ম্যাচ দুটির ফলের ওপর ভিত্তি করেই বিশ্বকাপের মূল বাছাইপর্ব। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দুটির প্রস্তুতি নিয়ে কী ভাবছে বাফুফে?

বিশ্বকাপের প্রাক-বাছাইয়ে বাংলাদেশের সামনে লাওস। ৬ জুন লাওসের ভিয়েনতিয়েনে অ্যাওয়ে ম্যাচে মাঠে নামবে জেমি ডের দল। ১১ জুন ঘরের মাঠে খেলা। এই দুটি ম্যাচের ওপরই নির্ভর করছে বিশ্বকাপের মূল বাছাইপর্বে বাংলাদেশ খেলার সুযোগ পাবে কিনা! এ ম্যাচের প্রস্তুতি কেমন? আপাতদৃষ্টিতে এটি নিয়ে বাফুফেতে কোনো হেলদোল দেখা না গেলেও শোনা যাচ্ছে এ উপলক্ষে থাইল্যান্ডে নাকি দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে জাতীয় দল।

থাইল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবই এ দুটি ম্যাচে জাতীয় দলের প্রতিপক্ষ। ২৪ মে থাইল্যান্ড যাবে দল। সেখান থেকেই লাওস। বাফুফের এ পরিকল্পনাটি সম্পর্কে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর পল স্মলি। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ মে থাইল্যান্ড যাবে জামাল ভূঁইয়ারা। ম্যাচ দুটি ২৮ মে ও ১ জুন। এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরবেন কোচ জেমি ডে।

সব দিক দিয়েই লাওসের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব তো নিশ্চিত হবেই, সেই সঙ্গে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ব্যাপারটি আছে। মোটকথা, এতে ব্যর্থ হলে আগামী চার বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবলের মূলস্রোত থেকে ছিটকে পড়তে হবে।

বাংলাদেশ শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল কম্বোডিয়ার বিপক্ষে গত ৯ মার্চ। ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছিল দল। এর পরে দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই ছিল এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্বের মিশনে। চূড়ান্তপর্বের টিকিট না পেলেও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়েছিল মাহবুবুর রহমান সুফিল, বিপলু আহমেদরা। আন্তর্জাতিক সূচি শেষ করে খেলোয়াড়েরা ছিলেন প্রিমিয়ার লিগের ব্যস্ততায়। লিগের প্রথম পর্ব শেষে এখন খেলোয়াড়েরা আছেন দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায়। এক দফা পিছিয়ে ৯ মে শুরু হবে লিগের ফিরতি পর্ব।