অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে দেখা গেল ওয়ার্নার-স্মিথকে

আক্রমণাত্মক শুরু পর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি ওয়ার্নার। ছবি: এএফপি
আক্রমণাত্মক শুরু পর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি ওয়ার্নার। ছবি: এএফপি

অবশেষে ফিরলেন তারা। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এসেছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেললেও অস্ট্রেলিয়া দলের প্রসঙ্গ এলেই ব্যবহার করা হয়েছে ‘ফিরছেন’ শব্দ। সেটাকে ফিরলেন লেখা গেল আজ। নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া দল। এ দুজনের ফেরার দিনে কষ্টার্জিত এক জয় নিয়ে মাঠ ছড়তে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া দল।

নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ এক বছর হলেও অস্ট্রেলিয়া দলে স্মিথ-ওয়ার্নারের ফেরার অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ কয়েকটি ম্যাচে নেওয়ার সুযোগ থাকলেও অস্ট্রেলিয়া সেটা করেনি, আইপিএলেই ব্যস্ত ছিলেন সাবেক অধিনায়ক ও সহ অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ড একাদশের অস্ট্রেলিয়া সফর উপলক্ষেই অবশেষে হলুদ জার্সিতে দেখা গেল ওয়ার্নার স্মিথকে। ব্যাটিং অনুশীলনটা অবশ্য ভালো হয়নি খুব একটা। অপরিচিত পজিশনে নেমে ৩৯ রান করেছেন ওয়ার্নার। টেস্ট ম্যাচের ছন্দে ২২ রান করেছেন স্মিথ।


তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথমটিতে অনুশীলনটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ২১৬ রানের লক্ষ্যে নেমে ২ উইকেটে ১২২ রান তুলে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকেই ধস নামে ব্যাটিং লাইনআপে। ২০৫ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন জ্যাসন বেহরেনডর্ফ ও অ্যাডাম জাম্পা।

স্মিথের প্রত্যাবর্তন আশানুরূপ হয়নি। ছবি: এএফপি
স্মিথের প্রত্যাবর্তন আশানুরূপ হয়নি। ছবি: এএফপি

আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকার পরও আজ দলের ইনিংস শুরু করার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি ওয়ার্নারকে। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নিয়মিত ইনিংস ওপেন করেছেন উসমান খাজা ও অ্যারন ফিঞ্চ। কিন্তু ওয়ার্নারকে খুব বেশি অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। পঞ্চম বলেই নামতে হয়েছে তাঁকে। জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনে একটু অস্থির মনে হয়েছে ওয়ার্নারকে। কোনো রান তোলার আগেই গালিতে ক্যাচ দিয়েছিলেন। সে যাত্রা বেঁচে যাওয়ার পর ৪৩ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হয়েছেন ওয়ার্নার। ওয়ার্নারের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন স্মিথ।

ওয়ার্নারের উল্টো পথে হেঁটেছেন স্মিথ। ২২ রান তুলতে ২টি চার মেরেছেন কিন্তু খেলেছেন ৪৩ বল। স্মিথের আগেই ফিরে গেছেন অধিনায়ক ফিঞ্চও (৫২)। নিয়মিত ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মাঝে নাথান কোল্টার-নাইল না দাঁড়িয়ে গেলে হারতে হতো অস্ট্রেলিয়া। ৩৬ বলে কোল্টার-নাইলের ৩৪ রানের ইনিংসের ফলেই ১৪ রান তুলতে ৫ ওভারের বেশি খেলার সুযোগ পেয়েছেন জাম্পা ও বেহরেনডর্ফ।

২০১৯ বিশ্বকাপের পাঁচজন খেলোয়াড় আছেন নিউজিল্যান্ড একাদশে। এদের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের অনুশীলনটা ভালোই হয়েছে। প্যাট কামিন্স, বেহরেনডর্ফ ও কোল্টার-নাইল তিনজনই ৩ উইকেট করে পেয়েছেন। কামিন্স প্রথম দুইটিই পেয়েছেন ইনিংসের প্রথম ওভারে। এর পর নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলের চমক ব্লান্ডেল (৭৭) দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। ইয়ংকে (৬০) সঙ্গে নিয়ে দলকে ভালো ভিত্তি এনে দিয়েছিলেন। এরপরও নিউজিল্যান্ড একাদশের স্কোর বড় হতে দেননি কোল্টার-নাইল (৩/৪৪), বেহরেনডর্ফ (৩/৩৪) ও কামিন্স (৩/৩৬)। অন্য উইকেটটি পেয়েছেন জাম্পা (১/৩১)।