লক্ষ্যটা সহজ করে দিয়েছেন তামিম-সৌম্য

দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছেন তামিম-সৌম্য। প্রথম আলো ফাইল ছবি
দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছেন তামিম-সৌম্য। প্রথম আলো ফাইল ছবি

ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকার। পার্থক্যটা হচ্ছে, সিলেটে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে তামিম-সৌম্য ১৩১ রানের জুটি গড়েছিলেন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে। আজ সেটি হচ্ছে উদ্বোধনী জুটিতে। ত্রিদেশীয় সিরিজে আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনিং জুটি এনে দিয়েছিল ৮৯ রান। জবাবে ক্যারিবীয়দের চেয়ে ভালো শুরু এনে দিলেন তামিম-সৌম্য । প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের রান ২২ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২১।


আয়ারল্যান্ডে রওনা দেওয়ার আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ২০৮* ও ১০৬—দুর্দান্ত দুটি ইনিংস খেলে গেছেন সৌম্য। সেই ছন্দটা টেনে নিলেন ডাবলিনে। সৌম্যসুলভ পুল, কাট, পেরিস্কোপ একেকটা ফুল হয়ে ফুটল ডাবলিনের ক্লনটার্ফে। বাঁহাতি ওপেনার ফিফটিও করেছেন রাজকীয় ভঙিতে, জেসন হোল্ডারকে পুল মেরে। ৫৬ বলে ৬২ রানে অপরাজিত সৌম্যর সেঞ্চুরি ফেলে আসাটাই হবে বড় ভুল!

সৌম্য একটু ‘অসৌম্য’ হলে তামিম এগোন ধীর লয়ে, ছটফটানিমুক্ত পরিণত মস্তিষ্কে। ৭৪ বলে অপরাজিত আছেন ৪৭ রান করে। সৌম্যর স্ট্রাইকরেট যেখানে ১১০.৭১, তামিমের সেখানে ৬২.৬৬। দেশসেরা ওপেনার অবশ্য প্রায়ই বলেন, নিজের চাহিদা নয়, এখন তিনি খেলেন দলের পরিকল্পনা মেনে। হয়তো দলের ‘থিংক ট্যাংকে’র বার্তা—তামিম এগোবেন উইকেট ধরে রেখে, সৌম্য এগোবেন স্বভাবসুলভ স্ট্রোক খেলে। এ পরিকল্পনায় এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ পুরোপুরি সফল—অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে লক্ষ্য। ২৬২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২২ ওভারে ৫.৫ রান রেটে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশের স্কোর ১২১। ১৬৮ বলে দরকার ১৪১ রান।

তামিম-সৌম্যর এ দুর্দান্ত শুরুর পর বাংলাদেশ যদি পথ হারায়, সেটিই হবে বিস্ময়কর!

আরও পড়ুন...