এমন কিছু এর আগে কখনো দেখা যায়নি

আর্সেনালের ফাইনালে ওঠায় গোল করে অবদান রাখেন পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াং। ছবি: এএফপি
আর্সেনালের ফাইনালে ওঠায় গোল করে অবদান রাখেন পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াং। ছবি: এএফপি
>

চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ডের মোট চারটি দল। ইউরোপের শীর্ষ দুটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা চার দল একই দেশের—এমন নজির এর আগে কখনোই দেখা যায়নি।

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের দুই দল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরই সম্ভাবনাটা দেখতে পেয়েছিলেন অনেকেই। ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় দুটি প্রতিযোগিতায় অল-ইংলিশ ফাইনাল। অর্থাৎ চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগ ফাইনালে ওঠা মোট চারটি দলের সবাই ইংল্যান্ডের। লিভারপুল-টটেনহাম চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করার পর সেই সম্ভাবনা কাল বাস্তবে রূপান্তর করেছে আর্সেনাল ও চেলসি।

কাল ইউরোপা লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে মাঠে নেমেছিল আর্সেনাল ও চেলসি। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৪-২ গোলের জয় তুলে নেয় আর্সেনাল। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৩ ব্যবধানের জয়ে সহজেই ফাইনালে উঠেছে উনাই এমেরির দল। অন্যদিকে চেলসিকে দিতে হয়েছে স্নায়ুচাপের পরীক্ষা। জার্মান ক্লাব ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র করেছিল ইংলিশ ক্লাবটি। কাল ফিরতি লেগেও একই ব্যবধানে ড্র করে দল। দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচ ২-২ গোলে অমীমাংসিত। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। স্নায়ুক্ষয়ী এ লড়াইয়ে চেলসিকে শেষ পর্যন্ত জেতান এডেন হ্যাজার্ড। টাইব্রেকারে চেলসির জয়সূচক গোলটি এসেছে বেলজিয়ান তারকার পা থেকে। টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে চেলসি। ২৯ মে বাকুতে আর্সেনালের মুখোমুখি হবে ‘ব্লুজ’রা।

ইউরোপের শীর্ষ দুই লিগের ফাইনালে চার দলই এক দেশের হওয়ায় কৌতূহল জাগাই স্বাভাবিক। এর আগে কখনো এমন ঘটেছে? সহজ জবাব হচ্ছে—না, এবারই প্রথম। মান-মর্যাদায় শীর্ষস্থানীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং দ্বিতীয় সারির ইউরোপা লিগের ফাইনালিস্ট চার দল একই দেশের—এমন ঘটনা এবারই প্রথম। ইউরোপের শীর্ষ দুটি টুর্নামেন্টে এর আগে কেবল দুবার অল-ইংলিশ ফাইনাল দেখা গেছে। ১৯৭১-৭২ মৌসুমে উয়েফা কাপে টটেনহাম-উলভস ও ২০০৮ চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-চেলসি। কিন্তু এক মৌসুমে এ দুটি প্রতিযোগিতার ফাইনালে একই দেশ থেকে চার দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার নজির এর আগে দেখা যায়নি।

টাইব্রেকার জিতে ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠেছে চেলসি। ছবি: এএফপি
টাইব্রেকার জিতে ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠেছে চেলসি। ছবি: এএফপি

চার দলের মধ্যে তিনটি দল ছিল একই দেশের। এমন নজির দেখা গেছে ছয়বার। এর মধ্যে ২০১৬ সাম্প্রতিকতম উদাহরণ—চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল স্পেনের দুটি ক্লাব (রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)। আর ইউরোপা লিগের ফাইনালে লিভারপুলের মুখোমুখি হয়েছিল স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়া। তবে উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ বিবেচনায় ধরলে এক মৌসুমে একই দেশ থেকে চার ফাইনালিস্ট দেখা গেছে।

১৯৬০ সালে শুরু হয়ে ১৯৯৯ সালে অবলুপ্ত হয়েছে কাপ উইনার্স কাপ প্রতিযোগিতা। ইউরোপে দ্বিতীয় সারির এ টুর্নামেন্টে ১৯৯০ ফাইনালে বেলজিয়ান ক্লাব অ্যান্ডারলেখটকে হারিয়েছিল ইতালিয়ান ক্লাব সাম্পদোরিয়া। সে বছর ইউরোপিয়ান কাপের (বর্তমানে চ্যাম্পিয়নস লিগ) ফাইনালে ইতালির এসি মিলানের কাছে হারে বেনফিকা। আর উয়েফা কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইতালির দুই দল জুভেন্টাস এবং ফিওরেন্তিনা। সেবার এই তিনটি টুর্নামেন্টের শিরোপাই ইতালিয়ান ক্লাবের ঘরে উঠেছে।

এবার যেমন শীর্ষ দুটি শিরোপাই উঠবে ইংলিশ ক্লাবগুলোর ঘরে। ‘ক্লিন সুইপ’ আর কি!