ধোনির এই 'ক্ষমতা' কোহলিরও নেই

মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বিরাট কোহলি। ছবি: টুইটার
মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বিরাট কোহলি। ছবি: টুইটার
>

ম্যাচের গতি-প্রকৃতি বোঝায় বিরাট কোহলি ধোনির চেয়ে পিছিয়ে। এমনটাই মনে করেন ধোনির শৈশবের কোচ কেশব ব্যানার্জি

বিশেষজ্ঞরা প্রায় সবাই এক বাক্যে মেনে নিয়েছেন, ভারতীয় দলে মহেন্দ্র সিং ধোনি থাকলে অধিনায়কত্ব করাটা বিরাট কোহলির জন্য অনেক সহজ হয়ে যায়। উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে কোহলির গেম রিডিংয়ের চাপ অনেকটাই কমিয়ে দেন ধোনি। নিজে থেকে ফিল্ডিং সাজান, অনেক সময় বোলার পরিবর্তনে কোহলিকে পরামর্শ দেন। সাবেক কোচ অনিল কুম্বলের মতে, ধোনি থাকলে দলের নেতৃত্ব দিয়ে স্বস্তি পান কোহলি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মূল কারণ ধোনির গেম রিডিং (ম্যাচের গতি-প্রকৃতি বোঝা) এবং সে অনুযায়ী কৌশল বেছে নেওয়ার ক্ষমতা। আর এতে একটি বিষয় মোটামুটি পরিষ্কার, ম্যাচের গতি-প্রকৃতি বোঝায় কোহলি ধোনির চেয়ে পিছিয়ে।

ধোনির শৈশবের কোচ কেশব ব্যানার্জি এমনটাই মনে করেন। ভারতের সাবেক অধিনায়কের ক্রিকেট একাডেমির (এমএস ধোনি ক্রিকেট একাডেমি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা বলেন কেশব। মাঠের ট্যাকটিকস ও গেম রিডিংয়ে ধোনি কোহলির পথপ্রদর্শক হতে পারেন বলেই মনে করেন এই কোচ, ‘ট্যাকটিকস ও গেম রিডিংয়ে ধোনির মতো কেউ নেই। এমনকি কোহলিরও তা নেই। ধোনির কাছ থেকে কোহলি তাই পরামর্শ নিতে পারে। ধোনি না থাকলে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় কোহলিকে সাহায্য করার মতো কেউ থাকত না।’

আর কিছুদিন পরই ইংল্যান্ডে (৩০ মে) শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। ভারত বরাবরের মতো এবারও ফেবারিট। তবে ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বরে নামবেন কে—এ প্রশ্নের সদুত্তর এখনো মেলেনি। কেশবের মতে, চার নম্বরে ধোনির নামা উচিত। ‘এতে বাকি ব্যাটসম্যানেরা তার পরে নেমে কোনো চাপ ছাড়াই খেলার সুযোগ পাবে’ বলে মনে করেন কেশব। তাঁর ছাত্রের বয়স কালে কালে কম হলো না। জুলাইয়ে ৩৮ বছরে পা রাখবেন ধোনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, এবার বিশ্বকাপের পর ধোনি অবসর নেবেন কি না? এর জবাবে সংবাদমাধ্যমকে কেশবের পাল্টা প্রশ্ন, ‘আপনারা কি চান ধোনি অবসর নিক? দেখেছেন এখনো সে কত ফিট। এটাই মূল ব্যাপার।’ এরপর অবশ্য বললেন, ‘ধোনি যখন অবসর নেবে তখন তার বাবা কিংবা স্ত্রী-ও জানবে না।’