অবিশ্বাস্য এক চ্যাম্পিয়নস লিগ!

অ্যানফিল্ডে লিভারপুল গড়েছে দরুণ এক রূপকথা। ছবি: এএফপি
অ্যানফিল্ডে লিভারপুল গড়েছে দরুণ এক রূপকথা। ছবি: এএফপি
>

দুই সেমিফাইনালে দুটি অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প। একটা চ্যাম্পিয়নস লিগ মৌসুম রাঙিয়ে যেতে এটুকুই যথেষ্ট। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে নক আউট পর্বে প্রত্যাবর্তনের গল্প আছে আরও

অ্যানফিল্ডে রূপকথা
প্রতিপক্ষ লিওনেল মেসির বার্সেলোনা, প্রথম লেগে যাদের মাঠে ৩-০ গোলে হেরে এসেছে লিভারপুল, দ্বিতীয় লেগে আবার ছিলেন না দলের দুই ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ ও রবার্তো ফিরমিনো। কিন্তু সব ফুৎকারে উড়িয়ে দিল লিভারপুল। ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল বার্সাকেও।

মউরায় ম্লান আমস্টারডাম
লিভারপুল যা পারে, টটেনহামও তা কিছু কম পারে নাকি! প্রথম লেগে ১-০ গোলে হার, আমস্টারডামে পরশু ৪৫ মিনিট শেষে ব্যবধান ৩-০। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে এক লুকাস মউরার হ্যাটট্রিকে ম্লান আয়াক্সের দাপট। তা-ও কী রোমাঞ্চ জাগিয়ে! যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে আমস্টারডামে যেন শ্মশানের স্তব্ধতা।

অ্যাটলেটিকোর ‘শত্রু’ রোনালদো
রিয়াল মাদ্রিদে ৯ বছরে ইউরোপে বারবার কাঁদিয়েছেন, জুভেন্টাসে গিয়েও অ্যাটলেটিকোকে কাঁদালেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। নিজেদের মাঠে জুভেন্টাসকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল অ্যাটলেটিকো, কিন্তু দ্বিতীয় লেগে রোনালদোর হ্যাটট্রিকে অ্যাটলেটিকো ফিরল খালি হাতেই।

আয়াক্সের শিকার রিয়াল
প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ২-১ গোলে হার, দ্বিতীয় লেগ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যু! আয়াক্সের পথচলা শেষ ষোলোতেই শেষ ধরে নেওয়া যাচ্ছিল। অথচ সেখানেই সান্তিয়াগো সোলারির রিয়াল মাদ্রিদকে নিয়ে ছেলেখেলা করল আয়াক্স। ৪-১ গোলের জয়ে উঠল শেষ আটে।

আমস্টার্ডামে টটেনহামও অন্যমাত্রা দিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগকে। ছবি: এএফপি
আমস্টার্ডামে টটেনহামও অন্যমাত্রা দিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগকে। ছবি: এএফপি


ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও কম কী!
প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ইউনাইটেডের ২-০ গোলে হার, তাতে আবার পল পগবা লাল কার্ড দেখায় তো আরও নয়। কিন্তু পিএসজির মাঠে ৩-১ গোলে জিতে ‘অ্যাওয়ে গোলে’ শেষ আটে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই! শেষ গোলটি আবার ৯০ মিনিটে ভিএআরে প্রাপ্ত পেনাল্টিতে। নাটক আর কী!

নাটক ভিএআরেও হয়
ভিএআর বেরসিক-তা সবাই-ই বলে। গোল হলো কি না, সেটি পরীক্ষা করতে গিয়ে এত সময় লাগে যে, উত্তেজনাই মরে যায়! সেই ভিএআরই এমন নাটক উপহার দিল! ম্যানচেস্টার সিটির একমুহূর্তের হাসিকে পর মুহূর্তেই বদলে দিল কান্নায়। কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম লেগে টটেনহামের মাঠে ১-০ গোলে হেরে আসা সিটির হয়ে দ্বিতীয় লেগে যোগ করা সময়ে রাহিম স্টার্লিং গোল করেছিল। ম্যাচে স্কোর তখন ৫-৩, দুই লেগ মিলিয়ে সিটি সেমিতে। কিন্তু ভিএআর জানাল, গোলের আগে আগুয়েরো অফসাইড ছিলেন। ব্যস, সিটির কপাল পুড়ল। ব্যবধান ৫-৩ নয়, হলো ৪-৪, ‘অ্যাওয়ে গোলে’ টটেনহামই এগোল।