রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে চীনে যাবেন বেল!

রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে এটাই শেষ মৌসুম বেলের। ছবি: টুইটার
রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে এটাই শেষ মৌসুম বেলের। ছবি: টুইটার

গ্যারেথ বেল ও রিয়াল মাদ্রিদের গল্পটা তাহলে শেষ হতে যাচ্ছে! ২০১৩ সালে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ওয়েলসহ উইঙ্গারকে দলে টেনেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দলে থাকার পরও তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে আনা হয়েছিল বেলকে। সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন বেল।

এ মৌসুমে শেষ হলেই তাই বেলকে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা রিয়ালের। এত দিন শোনা যাচ্ছিল বেলের পরবর্তী ঘর হবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কোনো ক্লাব। কিন্তু টিম শেরউডের ধারণা ইংল্যান্ড নয়, রিয়াল থেকে বেলের চীনে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি!

গত মৌসুমেই রিয়াল ছাড়ার সম্ভাবনা ছিল বেলের। কিন্তু জিদানের বিদায় ও রোনালদোর দলবদলের পর রিয়ালে বেল রাজত্ব সৃষ্টির সম্ভাবনা জেগেছিল। অবশেষে তাঁকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে রিয়ালের খেলা, এমন আশা করেছিল সমর্থক দল। কিন্তু বেল সে আশা পূরণ করতে পারলে তো! করিম বেনজেমা দলের বিপদে হাল ধরলেও বেলকে খুঁজে পাওয়া যায়নি পুরো মৌসুমে। এর মাঝেই আবার দায়িত্বে ফিরেছেন জিনেদিন জিদান। যার অধীনে প্রথমবারই দল ছাড়তে চেয়েছিলেন বেল। এবার পরিস্থিতি উল্টো, বেল থাকতেই চাইছেন তবে জিদান আর তাঁকে চান না। না, স্প্যানিশ মিডিয়ার বানোয়াট কোনো খবর নয়। বেলের এজেন্ট নিজেই জানিয়েছেন এ শঙ্কার কথা।

এমন অবস্থায় বেলের সম্ভাব্য দল খুঁজে নেওয়ার দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে সংবাদমাধ্যম। প্রিমিয়ার লিগের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নাম তো প্রতি দলবদলেই ওঠে। এবার সে সঙ্গে বেলের সাবেক দল টটেনহামের নামও শোনা যাচ্ছে। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনকে নিতে চায় রিয়াল। এরিকসেন ও বেলের মধ্যে অদলবদল করে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা শোনা গেছে অনেক। তবে সাবেক টটেনহাম খেলোয়াড় ও ম্যানেজার টিম শেরউড এ ধারণা উড়িয়ে দিচ্ছেন। গ্যারেথ বেলের বার্ষিক ১৫ মিলিয়ন ইউরো বেতনটাই বেশি ভাবাচ্ছে তাঁকে। বিউইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে শেরউড বলেছেন, ‘আমার মনে হয় প্রিমিয়ার লিগে ফেরার চেয়ে বেলের চীনে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সে যদি বর্তমান বেতন পেতে চায় এবং রিয়ালে যেমন জীবন যাপন করে সেটা ধরে রাখতে চায় তাহলে তাকে চীনেই যেতে হবে। মাদ্রিদে ও যে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেটা আমি দেখতেই পাচ্ছি এবং জিদান ওকে যাওয়ার সংকেত দিয়েই দিয়েছে। তবে আমার মনে হয় না সে নিজে যেতে চায় আর তার বেশ বড় অঙ্কের চুক্তি আছে। ও স্পার্সে ফিরবে বলেও আমার মনে হয় না। কারণ আর্থিকভাবে এটা সম্ভব নয়। এটা রোমান্টিক হতো কিন্তু এতে বড় একটা দলবদল ফি লাগবে এবং অনেক বিরাট অঙ্কের বেতন লাগবে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে অ্যালেক্সিজ সানচেজের বেতনের চেয়েও বেশি।’

২০১৩/১৪ মৌসুমে রিয়ালে আসার পর সম্ভাব্য সবকিছুই জিতেছেন বেল। কিন্তু চোটের কারণে মাদ্রিদ ক্যারিয়ারের প্রায় ৪০ ভাগ সময়ই মাঠের বাইরে ছিলেন বেল। ৩০ বছর বয়সী এক ফরোয়ার্ডকে মৌসুমের মাত্র অর্ধেক সময় পাওয়ার জন্য এমনিতেও ১৫ মিলিয়ন ইউরো বেতন দিতে উৎসাহী নয় রিয়াল। এখন আবার কোচ জিদানেরও আপত্তি আছে তাঁকে নিয়ে। বেলের এজেন্ট কয়েক দিন আগেই বলেছেন বেতন কমানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং বর্তমান বেতনের চেয়ে বেশি বেতনেই দলবদল করবেন বেল। সে ক্ষেত্রে চীন ছাড়া অন্য কোনো লক্ষ্যের কথা মাথায় আনা আসলেই কঠিন!