তাড়া করে জয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি দিতে পারবে পাকিস্তান?

ঝড় তুলে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর বাটলার। ছবি: এএফপি
ঝড় তুলে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর বাটলার। ছবি: এএফপি
>সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ৩৭৩ রান তুলেছে ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ডের ইনিংসে ২৯তম ওভারে বৃষ্টির কারণে বেশ কিছু সময় বন্ধ ছিল খেলা। স্বাগতিকদের ইনিংস শেষে পাকিস্তানের বোলাররা ভাবতেই পারেন, বৃষ্টি না থামলেই ভালো হতো! খেলা ভন্ডুল হলে অন্তত বেধড়ক পিটুনি খেতে হতো না।

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ আগে ব্যাট করেছে ইংল্যান্ড। ১৯ ওভারের মধ্যে স্কোরবোর্ডে ১১৫ রান তুলে ফেলেন দুই ইংলিশ ওপেনার জ্যাসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। বোঝাই যাচ্ছিল, ঝড়টা পরে বড় হবে। রয় ৮৭ ও বেয়ারস্টো ৫১ রান করে আউট হওয়ার পর ঝড়কে ‘হারিকেন’-এ রুপান্তর করেন তুলেছেন জস বাটলার ও এয়ুইন মরগান। চতুর্থ উইকেটে ৮৯ বলে ১৬২ রানের বিস্ফোরক জুটি গড়েন দুজন। তাঁদের অপরাজিত জুটিতে ৩ উইকেটে ৩৭৩ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। জিততে হলে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নতুন করে লেখাতে হবে পাকিস্তানকে। পাঁচ বছর আগে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ৩২৬ রান তাড়া করে জিতেছিল পাকিস্তান। ওয়ানডেতে এটাই তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড।

ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে পেলে বাটলারের ব্যাট বরাবরই চওড়া হয়ে ওঠে। ওয়ানডেতে দলটির বিপক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি তিনি গড়েছেন চার বছর আগেই দুবাইয়ে। সেটি ছিল ৪৬ বলে সেঞ্চুরি। সাউদাম্পটনে আজ একই দলের বিপক্ষে বাটলার সেঞ্চুরি তুলে নিলেন ৫০ বলে। ৯ ছক্কা ও ৬ চারে তাঁর ৫৫ বলে ১১০ রানের ইনিংসটি বহুদিন মনে রাখবেন ইংলিশ সমর্থকেরা। অন্য প্রান্তে ৪৮ বলে ৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন মরগান। দুজনের বিস্ফোরণে শেষ ৫ ওভারে ৭৪ রান তুলেছে ইংল্যান্ড।

সবশেষ বিশ্বকাপের পর দলীয় সংগ্রহ তিন শ পার করা প্রায় হাতের মোয়া বানিয়ে ফেলেছে ইংল্যান্ড। গত বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে ৩৪ ইনিংসে তিনশোর্ধ্ব রান তুলেছে দলটি।কিন্তু ২০১৫ বিশ্বকাপের পর এই চার বছরে ইংল্যান্ড সেই একই কাজ করল ৩৫বার! 

অসুস্থতার জন্য আজ খেলতে পারেননি পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির। পেসার জুনায়েদ আহমেদকেও বসিয়ে লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহকে খেলিয়েছে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট। ৭ ওভারে ৬০ রানে ১ উইকেট নেওয়া ইয়াসির মোটেও ভালো করতে পারেননি। ইংল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডেতে তাঁদের তিন অন্যতম সেরা রয়, বেয়ারস্টো ও স্টোকস কখনো লেগ স্পিনে আউট হননি। জো রুট পর্যন্ত মাত্র একবার আউট হয়েছেন লেগ স্পিনে। এমন রেকর্ডের পরও জুনায়েদকে বসিয়ে ইয়াসিরকে খেলানোর সিদ্ধান্তটি বুমেরাং হয়েছে পাকিস্তানের জন্য।