প্রধানমন্ত্রীকে যে কথা আর বলেন না বিসিবি সভাপতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ম্যাচ দেখছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ম্যাচ দেখছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। ফাইল ছবি

প্রশ্নটা শুনেই হাসিতে ফেটে পড়লেন নাজমুল হাসান। এভাবে হাসতে কমই দেখা যায় বিসিবি সভাপতিকে। এবার ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল যদি বাংলাদেশ জিতে যায়...—এতটুকু শুনেই থামিয়ে দেন নাজমুল, ‘এ কথা আর বইলেন না।’ 

বাংলাদেশ কখনো ফাইনাল জিততে পারেনি। দ্বিপক্ষীয় সিরিজের বাইরে কখনো কোনো ট্রফি জিততে পারেনি। এই অচলায়তন ভাঙার কী সুযোগটাই না এসেছিল গত বছরের মার্চে, কলম্বোয় নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে। প্রেমাদাসায় সে রাতে ভারতের বিপক্ষে জয়টা যখন প্রায় হাতের মুঠোয়, তখনই সেটি বেরিয়ে গেছে মনে বড় দাগা দিয়ে। ১২ বলে ভারতের দরকার ছিল ৩৪ রান। ১৯তম ওভারে রুবেল হোসেন দিয়ে বসলেন ২২ রান। শেষ ওভারে সমীকরণ নেমে এল ১২ রানে। ভারতকে আটকাতে বোলিংয়ে নিয়ে আসা হলো সৌম্য সরকারকে

একজন খণ্ডকালীন বোলার হিসেবে সৌম্য কীভাবে আটকাবেন ভারতকে? আশ্চর্য, তিনি অনেকটাই পারলেন! টি-টোয়েন্টিতে ৬ বলে ১২ কঠিন নয়। তবে ১ বলে ৫ রান অবশ্যই কঠিন। সেই কঠিন কাজটাই করলেন দিনেশ কার্তিক। ওয়াইড ইয়র্কারের চেষ্টা করেছিলেন সৌম্য। ঠিকঠাক হয়নি, মাপা ছক্কায় দলকে জিতিয়ে দিলেন দিনেশ। বেদনাবিধুর সেই ফাইনালের কথা আজ আবার মনে পড়ে গেল বিসিবি সভাপতির। বাংলাদেশের জেতার সম্ভাবনা দেখে বড় আশা নিয়ে সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিলে, প্রথমবারের মতো একটা ফাইনাল জিততে যাচ্ছি...। কিন্তু হায়, সে আশা যেন মিলিয়ে গেল ভারত মহাসাগরের বিপুল জলরাশিতে।

এবার আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে যদি বাংলাদেশ উঠতে পারে এবং জিততে পারে—নাজমুল হাসতে হাসতে বলেন, ‘এ কথা আর বইলেন না। শোনেন, নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে আপাকে (প্রধানমন্ত্রী) ফোন করে এ কথাই বলছিলাম, ‘‘আপা, এই প্রথম...(ত্রিদেশীয় সিরিজ) জিততে যাচ্ছি।’’ কে জানে, শেষ দুই ওভারে অমন হবে। এর চেয়ে দুঃখ আর কী হতে পারে! এর পর থেকে আর কিছু বলি না। ম্যাচটা ভুলতেই পারি না। এত রান করা সম্ভব ( ১২ বলে ৩৪)? ওই ম্যাচ না জেতার কোনো কারণই ছিল না।’

এবার বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল জিততে পারবে কিনা, সেটি বলার উপায় নেই। আগে তো ফাইনালে উঠতে হবে। তবে এটা নিশ্চিত, ফাইনাল দেখতে আয়ারল্যান্ডে যাচ্ছেন বিসিবি সভাপতি।