সাকিবের যে পরামর্শ কাজে লেগেছিল মিরাজের

উইন্ডিজের বিপক্ষে সেদিন সাকিব–মিরাজের জুটিটা জমেছিল বেশ। ছবি: প্রথম আলো
উইন্ডিজের বিপক্ষে সেদিন সাকিব–মিরাজের জুটিটা জমেছিল বেশ। ছবি: প্রথম আলো
>মেহেদি হাসান মিরাজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৮ রানে পেয়েছিলেন ১ উইকেট। সেদিন সাকিবের পরামর্শেই এত ভালো বল করেছিলেন বলে জানান তিনি।

আয়ারল্যান্ড সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৪ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৫। যেভাবে এগোচ্ছিল, উইন্ডিজের স্কোর ৩০০ হওয়া কঠিন কিছু ছিল না। শেষ পর্যন্ত সেটি যে হয়নি, স্লগ ওভারের শুরুতেই মাশরাফি বিন মুর্তজার দুটি ধাক্কায়। পেসাররা পরে সাফল্য পেলেও তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় চাপে রেখেছিলেন দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ইনিংসের ১৭তম ওভারে সুনিল এমব্রিসকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেক থ্রুটা এনে দিয়েছিলেন মিরাজই।

অমন চাপের সময় দলের অন্যতম অভিজ্ঞ সতীর্থ সাকিব আল হাসানের এক পরামর্শই নাকি বদলে দিয়েছিল মিরাজকে। কী পরামর্শ দিয়েছিলেন সাকিব, তা মিরাজের নিজের মুখ থেকেই শুনুন, ‘সাকিব ভাই সহযোগিতা করেছে। সাকিব ভাই প্রথম ওভার করার পর বলেছিলেন, উইকেট পেতে হলে এক জায়গায় বল করতে থাক। পরে তো সেকেন্ড বলেই উইকেট পেয়ে গেলাম, এতে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে।’ ৩৫তম ওভারে যখন নিজের ১০ ওভার শেষ করেন, মিরাজের বোলিং পরিসংখ্যান ৩৮ রানে ১ উইকেট। ইকোনমি ৩.৮০। কোন পরিস্থিতে কী করতে হবে, তা সাকিবের চেয়ে আর ভালো কজনেই বা জানেন! সাকিব নিজে তো ছিলেন আরও কৃপণ—১০ ওভারে ৩৩ রানে ১ উইকেট। তাঁর ইকোনমি ৩.৩।

ম্যাচ শেষে মিরাজের প্রশংসা করেছিলেন সাকিবও, ‘শুরুটা আমরা খুব একটা ভালো করিনি। ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিল যখন আমি আর মিরাজ বোলিং করছিলাম। ওই সময়ে আমাদের বোলিং জুটিটা খুব ভালো হচ্ছিল। দুজন ব্রেক থ্রুও দিয়েছি। ওরা যেভাবে শুরু করেছিল, একটা সময় মনে হচ্ছিল ৩০০-৩২০ হবে। আমাদের দুজনের ভূমিকা ওই সময় অনেক বেশি ছিল। আমাদের অনেক সমর্থনও করা হয়েছে। শুরুতে পেসাররা ভালো না করতে পারলেও পরে তারা ফিরে এসেছে। তবে বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল আমাদের দুজনের বোলিং জুটি। ওই সময় ৭-৮ ওভার খুব কম রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়া, আমার কাছে মনে হয় অনেক বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল।’

আয়ারল্যান্ডে মিরাজ ভালো শুরু করার পরও বিশ্বকাপে একাদশে থাকতে পারবেন কি না, সে সন্দেহ থেকেই যায়। ইংলিশ কন্ডিশনে চার পেসার খেলানোর পথেও হাঁটতে পারে বাংলাদেশ। নিজে খেলতে পারল কি না, এর চেয়ে দলের প্রয়োজনের কথাই মনে করিয়ে দিলেন মিরাজ, ‘আসলে টিম কম্বিনেশনের জন্য অনেক কিছুই হতে পারে। আমরা সবাই দলের জন্যই খেলি। টিম কম্বিনেশনের জন্য বসে থাকতে হলে টিমের ব্যাপার। আমি যতটুকু সুযোগ পাই, চাই সর্বোচ্চটা দিতে। যতটুকুই সুযোগ পাই ১০০ পারসেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করি।’