বাংলাদেশের উপকারই করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন আমব্রিস। ছবি: ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড
দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন আমব্রিস। ছবি: ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড

ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ড যতটা গর্জাল, বোলিংয়ে সেটা ঠিক হলো না। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের বিপরীতে নির্বিষ বোলিং। ম্যাচ জিততে হলে ভালো করতে হয় তিন বিভাগেই। আয়ারল্যান্ড তাই ৩২৭ করেও জিততে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড গড়ে ডাবলিনে আজ ক্যারিবীয়রা ম্যাচটা জিতল ৫ উইকেটে।

আইরিশদের রানপাহাড় টপকে বাংলাদেশের আদপে উপকারই করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচটা আয়ারল্যান্ড জিতে গেলে তাদের পয়েন্ট হতো অন্তত বাংলাদেশের সমান—৬। ফাইনালে ওঠা নিয়ে পরে কঠিন সমীকরণে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকত মাশরাফিদের। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় আয়ারল্যান্ড যে দুটি পয়েন্ট কুড়িয়ে পেয়েছিল, সেটিই এখন তাদের সম্বল। ৩ ম্যাচে ২ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের আরেকটি দুর্দান্ত জয়ের নায়ক সুনীল আমব্রিস। দারুণ ছন্দে থাকা ক্যারিবীয় ওপেনার শাই হোপ আজ ৩০ রান করে আউট হলেও আমব্রিস এক প্রান্তে আগলে রেখে বুঝতেই দেননি আয়ারল্যান্ডের রানপাহাড় টপকাচ্ছেন। র‍্যাঙ্কিনের বলে আউট হওয়ার আগে করেছেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ১৪৮ রান। কাজটা তিনি এতটাই সহজ করে দিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩২৮ রানের লক্ষ্য পেরিয়েছে ১৩ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে।

অবশ্য আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানে চাপা পড়া আয়ারল্যান্ড আজ যে এভাবে উল্টো জবাব দেবে কে ভাবতে পেরেছিল। ম্যাচের ফল যা–ই হোক, ব্যাটিংয়ে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণটা আজ বেশ ভালোভাবেই দিয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজের স্বাগতিক দলটি। অ্যান্ডি বলবার্নির অনবদ্য ১৩৫ রানের ইনিংসে চড়ে আয়ারল্যান্ড কাল ৫০ ওভারে তুলল ৫ উইকেটে ৩২৭।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আইরিশরা অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খায়। ১৯ রানে ওপেনার জেমস ম্যাকলামকে হারানোর পর যেন ‘আসল’ খেলা শুরু করল দলটি। আরেক ওপেনার পল স্টার্লিংকে নিয়ে ধাক্কা সামলে দলকে শক্ত ভিত এনে দেন বলবার্নি। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুজনের ১৪৬ রানের জুটিতে উল্টো চাপে পড়ে যায় আগের দেখায় বিশাল ব্যবধানে জেতা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাঁধে। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে শেলডেন কটরেলকে ক্যাচ দিয়ে ৭৭ রানে স্টার্লিং আউট হয়ে গেলেও বলবার্নি চতুর্থ উইকেটে কেভিন ও’ব্রায়েনকে নিয়ে ১০.৩ ওভারে গড়লেন ৮৪ রানের জুটি। সাবধানী শুরুর কারণে রানের চাকা ধীর এগোচ্ছিল, এই জুটিতে সেই গতি বেড়ে গেল বেশ। নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরির দিনে বলবার্নি ১১ চার ও ৪ ছক্কায় করলেন ১৩৫ রান। আর ও’ব্রায়েন ৪০ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় করলেন ৬৩ রান। বলবার্নিকে কার্টার ও ও’ব্রায়েনকে হোল্ডার ফিরিয়ে দিলেও ১৩ বলে অপরাজিত ২৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে তিন শ পার করান মার্ক আডাইর।

এত কিছু করে আর কী হলো! আইরিশ ব্যাটসম্যানদের সব চেষ্টা বোলারদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত বৃথাই গেল।