ফাইনালে উঠতে ২৪৮ দরকার বাংলাদেশের

বাংলাদেশের আরও একটা উইকেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসজুড়ে দেখা গেছে এ দৃশ্য। ছবি: এএফপি
বাংলাদেশের আরও একটা উইকেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসজুড়ে দেখা গেছে এ দৃশ্য। ছবি: এএফপি

আগের ম্যাচে তাও ২৬১ রান করতে পেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজ সেটিও হয়নি। ডাবলিনে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৯ উইকেটে ২৪৭ রান।

ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যয়বহুল বোলিং করায় গত কদিনে বারবার কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে মোস্তাফিজুর রহমানকে। বাঁহাতি পেসার দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি ফিরতে জানেন। শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছেন, নিয়মিত উইকেটও পেয়েছেন। ৯ ওভারে ১ মেডেনে ৪৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে সফলতম বোলার মোস্তাফিজ। একটু ব্যয়বহুল হলেও গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এনে দেওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজার কৃতিত্বও কম নয়। অধিনায়ক ৬০ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট পেলেও অসাধারণ বোলিং করেছেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজও। আগের ম্যাচের মতো এদিনও তাঁরা ভীষণ কৃপণ, বিশেষ করে সাকিব। চমকে দিয়ে একাদশে ঠাঁই পাওয়া আবু জায়েদের অভিষেকটা অবশ্য ভালো হয়নি, ৯ ওভারে ৫৬ রানে ছিলেন উইকেটশূন্য। ইনিংস শেষে মাঠ ছেড়েছেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।

ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে পেলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ রান উৎসবে করেছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে সেটি তারা করতে পারেনি মাশরাফিদের অসাধারণ বোলিংয়ে। এ সিরিজেই আগের দেখায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ান ওপেনিং জুটি তুলেছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৯ রান। আজ তাদের এ স্কোরটাই হয়েছে ৩ উইকেট হারিয়ে। ৯৯ রান তুলতে নেই ৪ উইকেট। আগের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৮ রান করা সুনীল আমব্রিসকে দ্রুতই ফিরিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি। সৌম্য সরকারের দারুণ ক্যাচ হওয়ার আগে উইন্ডিজ ওপেনারের রান ২৩। বেশি দূর এগোতে পারেননি ড্যারেন ব্রাভোও। মেহেদী হাসান মিরাজের অফস্পিনে এলবিডব্লু  হওয়ার আগে করেছেন ৬ রান। একটা সময় ক্যারিবীয়রা এতটা চাপে পড়ে যায়, ১২.২ ওভারের পর বাউন্ডারি মারতে লেগেছে ১০৪ বল। এ চাপ থেকে আর বের হতে পারেনি তারা।

ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যা উদ্ধার করেছে শাই হোপ-জেসন হোল্ডারের পঞ্চম উইকেট জুটি। ক্যারিয়ারের সেরা ছন্দে থাকা হোপ বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো খেলাটা যেন নিয়মিত ঘটনা বানিয়ে ফেলেছেন। আজও এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু সেটি হয়নি। মাশরাফির বলে মুশফিকের গ্লাভসে ধরা পড়ার আগে হোপের রান ৮৭। আগের ম্যাচে উইন্ডিজ অধিনায়ক হোল্ডারকে ফিরিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আজও দৃশ্যটার পুনরাবৃত্তি হলো। আউট হওয়ার আগে হোল্ডার করেছেন ৬২। হোপ-হোল্ডারের জুটি যোগ করেছে ১০০ রান।

হোপ-হোল্ডার ছাড়া আর তেমন কোনো ইনিংস আসেনি ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে, স্কোরটাও তাই তাদের ২৪৭ রানের বেশি হয়নি। আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য যদি বাংলাদেশ ৮ উইকেট হাতে রেখে জেতে, তবে আজ কেন নয়? আর এ ম্যাচ জিতলেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত মাশরাফিদের।