বাদ পড়লে এখন ইমরুলের খারাপ লাগে না, ভালোই লাগে

ইমরুলের মনোযোগ এখন বিসিবির বিশেষ ক্যাম্প নিয়ে। ছবি: প্রথম আলো
ইমরুলের মনোযোগ এখন বিসিবির বিশেষ ক্যাম্প নিয়ে। ছবি: প্রথম আলো
>বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ার হতাশা কাটানোর উপায় খুঁজে নিয়েছেন ইমরুল

ইমরুল কায়েসের মতো জাতীয় দলের বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের অন্তত বসে থাকতে হচ্ছে না। ‘এলিট প্লেয়ার্সে’র মোড়কে তারা এখন নিয়মিত অনুশীলন করছে বিসিবি একাডেমি মাঠে কিংবা ইনডোরে। এ ধরনের ক্যাম্পে থাকলে হয়তো আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে নামে না। তবে জাতীয় দলে না খেলার আফসোস তো আর তাতে দূর হয় না।

ইমরুলেরও হচ্ছে। কিন্তু কী আর করা। মানসিকভাবে শক্ত থাকা ছাড়া এ মুহূর্তে কিছু করার নেই। বারবার বাদ পড়া আর দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ঘটনায় মানসিকভাবে অনেকটাই শক্ত ইমরুল। এখন বাদ পড়াটাও তিনি দেখছেন ইতিবাচকভাবে, ‘যখন একটা জায়গায় আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকতে হয়, সেখানে অনেক কিছু দেখা যায়, অনেক কিছু উপলব্ধি করা যায়। ওটাই বুঝেছি। অনেক কিছুই শিখি যখন দলের বাইরে থাকি, অনেক কিছু তখন উপলব্ধি করতে পারি। আবার যখন দলে সুযোগ পাই, সেটাই কাজে লাগাতে পারি। এটা আমার কাছে আর খারাপ লাগে না, ভালোই লাগে (বারবার বাদ পড়া)।’

যে ক্যাম্পটা চলছে, এটি মূলত জাতীয় দলের বিকল্প খেলোয়াড় প্রস্তুত রাখার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। গত বিশ্বকাপে হুট করেই ডাক পড়েছিল ইমরুলের। এবারও যদি এমন সুযোগ চলে আসে, সুযোগ কাজে লাগাতে তৈরি থাকবেন বলে জানালেন ইমরুল, ‘এ রকম ক্যাম্প থাকলে অন্তত নিজেকে প্রস্তুত রাখা যায়। যেকোনো সময়ে ডাক পড়লে দ্রুত জাতীয় দলে মানিয়ে নেওয়া যায়। না হলে হুট করে গিয়ে খেলাটা কঠিন। আন্তর্জাতিক ম্যাচের ফিটনেস ও ঘরোয়া ক্রিকেটের ফিটনেস দুইরকম। এখানে যারা ডাক পেয়েছি অবশ্যই আমরা সৌভাগ্যবান। বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে। লম্বা এ টুর্নামেন্টে কেউ যদি চোটে পড়ে যায়, এখান থেকে খেলোয়াড়রা যাবে। ক্যাম্পটা তাই সবাই খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে। এখান থেকে খেলোয়াড় দরকার হলেও হতে পারে।’