ভারতের যে দিক নিয়ে শঙ্কিত বাংলাদেশের সাবেক কোচ

বাংলাদেশের প্রথম বিদেশি কোচ মহিন্দর অমরনাথ। ছবি : টুইটার
বাংলাদেশের প্রথম বিদেশি কোচ মহিন্দর অমরনাথ। ছবি : টুইটার
>১৯৯৩ সালে বাংলাদেশের কোচ হয়ে এসেছিলেন সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান মহিন্দর অমরনাথ। তাঁর অধীনেই ’৯৪ আইসিসি ট্রফি খেলেছিল দল। তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য। সেই অমরনাথ শঙ্কিত ভারতীয় স্পিনারদের নিয়ে

১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় অন্যতম সদস্য ছিলেন মহিন্দর অমরনাথ। অনেকের মতেই সে আশির দশকে পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে তাঁর চেয়ে কার্যকরী ব্যাটসম্যান আর কেউ ছিলেন না। নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ দলের কোচও হয়েছিলেন তিনি। তাঁর অধীনেই কেনিয়ায় ’৯৪ আইসিসি ট্রফি খেলেছিলেন ফারুক আহমেদ, মিনহাজুল আবেদীনরা। সেই অমরনাথ জানিয়েছেন ভারতীয় দলের স্পিন আক্রমণ নিয়ে নিজের শঙ্কার কথা।

বিরাট কোহলির দলের মূল স্পিনার কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চাহাল। দুজনের বোলিংয়ের ‘রহস্য’ ঘোচাতে হিমশিম খেতে হয়েছে ক্রিকেট দুনিয়াকে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাই দুজনই ছিলেন দারুণ সফল। দুটি নামই ছিল ব্যাটসম্যানদের কাছে আতঙ্ক-জাগানিয়া। কুলদীপ বাঁহাতি চায়নাম্যান, ওদিকে যুজবেন্দ্র ডানহাতি লেগস্পিনার। কিন্তু হালে অতিব্যবহারে দুজনকেই ব্যাটসম্যানরা ‘পড়ে’ ফেলেছেন বলে মনে করেন অমরনাথ, ‘দেখুন, আমাদের বড় শক্তি হলো স্পিন বোলিংয়ে। কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চাহাল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে আমরা এই দুজনকে বেশি ব্যবহার করে ফেলেছি। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, আমাদের ম্যানেজমেন্ট চাইলে এই দুজনকে একটু রয়ে-সয়ে খেলাতে পারত। এখন বিশ্বের প্রায় সব দলই বুঝে গেছে কীভাবে এই দুজনকে খেলতে হয়। ফলে, আপনার ঝুলিতে এখন আর কোনো রহস্য স্পিনার নেই যা দিয়ে আপনি প্রতিপক্ষকে তাক লাগাতে পারেন। এখন যেহেতু তারা নিয়মিত ক্রিকেট খেলছে, তাঁদের নতুন কিছু দেওয়ার নেই। সবাই এখন এই দুজনের ব্যাপারে সবকিছু জানে।’

তবে অমরনাথ বিশ্বকাপে ভারতের তুরুপের তাস মনে করেন ব্যাটিংকেই, ‘এই ধরনের পরিস্থিতিতে ভারতের ব্যাটিংকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। যে ম্যাচে আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো খেলবে, সে ম্যাচে আমাদের জেতার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।’

কুলদীপ আর চাহালকে একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলালে এই সমস্যা হতো না বলে মানেন ভারতের সাবেক এই ব্যাটসম্যান, ‘আমি বলছি না তাঁদের বিশ্রাম দেওয়া দরকার ছিল। সেটা কোনো সমাধান নয়। তবে আমার মনে হয়, তাঁদের প্রত্যেক ম্যাচে নামানোর কোনো দরকার ছিল না। বিশেষ প্রতিভাধর বোলারদের প্রতি ম্যাচে ব্যবহার করার কী দরকার? বরং অগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে ওদের বসিয়ে রেখে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে খেলালেই পারত।’

এবার আইপিএলে যুজবেন্দ্র আর কুলদীপ তেমন ভালো খেলেননি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে এক ম্যাচে মঈন আলী আর বিরাট কোহলির কাছে বেধড়ক মার খেয়ে ম্যাচ শেষে কেঁদেই ফেলেছিলেন কুলদীপ। অমরনাথ অবশ্য আইপিএল নিয়ে খুব চিন্তিত নন বরং চিন্তিত এই দুই স্পিনারের অতি ব্যবহার নিয়ে, ‘আমার কাছে আইপিএলের কোনো মূল্য নেই। কিন্তু ওই যে, কুলদীপ আর যুজবেন্দ্র আইপিএলেও নিয়মিত খেলেছে। ফলে সবাই ওদের শক্তিমত্তা সম্পর্কে জেনে গেছে। আপনি একই ব্যাটসম্যানকে বারবার আউট করতে পারবেন না। আর ইংল্যান্ডে ওদের জন্য আরও কঠিন কন্ডিশন অপেক্ষা করছে। ওদের জন্য টুর্নামেন্টটা তাই বেশ কঠিন হবে।’