রিয়ালে বেনজেমার সঙ্গে নতুন এই স্ট্রাইকার কে?

এবার ফ্রাঙ্কফুর্টের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন জোভিচ। ছবি: এএফপি
এবার ফ্রাঙ্কফুর্টের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন জোভিচ। ছবি: এএফপি
>

জার্মান ক্লাব আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে তরুণ সার্বিয়ান স্ট্রাইকার লুকা জোভিচকে নিয়ে আসছে রিয়াল মাদ্রিদ।

সেই ২০০৯ সালে রিয়ালে এসেছিলেন করিম বেনজেমা। ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক লিওঁ থেকে রিয়াল তাঁকে কিনেছিল ৩৫ মিলিয়ান ইউরো দিয়ে। ১০ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ফরাসি স্ট্রাইকার কিন্তু এখনো রিয়ালের অন্যতম মূল ভরসা। অন্তত গোল করার ক্ষেত্রে। মাঝে অনেক স্ট্রাইকারই তো এসেছেন-গেছেন। ইমানুয়েল আদেবায়োর, আলভারো মোরাতা, চিচারিতো হার্নান্দেজ, মারিয়ানো দিয়াজ, বোর্হা মায়োরাল-কেউই বেনজেমাকে তাঁর সিংহাসন থেকে টলাতে পারেননি।

দশ বছর তো কম সময় নয়। বেনজেমার এখন বয়স হয়েছে। ক্লাবও বুঝেছে দলে তরুণ স্ট্রাইকার দরকার, রিয়ালকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সে লক্ষ্যে গত এক-দেড় বছর ধরেই হন্যে হয়ে ভালো একজন স্ট্রাইকার খুঁজছিল রিয়াল। সেই খোঁজাখুঁজি শেষ হয়েছে। সার্বিয়ার তারকা লুকা জোভিচকে দলে আনছে তারা। জোভিচকে আনতে গিয়ে বেশ খরচ করতে হচ্ছে রিয়ালকে। ৬০ মিলিয়ন ইউরো বা ৫২.৪ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে রিয়ালে নাম লেখাচ্ছেন তিনি। রিয়ালের সঙ্গে তাঁর চুক্তি পাঁচ বছরের, এমনটাই শোনা যাচ্ছে।

২১ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার নিজ দেশের পার্টিজান বেলগ্রেড ক্লাবে আলো ছড়িয়ে নাম লিখিয়েছিলেন পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকায়। তবে বেনফিকা তাঁর মর্ম বুঝতে পারেনি। এক বছরে ঘরোয়া লিগে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলিয়েছে তাঁকে। কেনার পরের বছরেই জোভিচকে দুই বছরের জন্য ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে ধারে ছেড়ে দেয় তারা। সেখানেই নিজেকে ভালোভাবে মেলে ধরেন তিনি। গত দুই বছরে ফ্রাঙ্কফুর্টের আক্রমণভাগের অন্যতম প্রধান ভরসা হয়ে ছিলেন জোভিচ, দলটিকে গত মৌসুমে জার্মান কাপও জিতিয়েছেন। এ মৌসুমে জোভিচের কাঁধে চড়ে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনাল পর্যন্ত গেছে ফ্রাঙ্কফুর্ট। সেমিতে চেলসির কাছে পেনাল্টিতে হেরে যায় তারা। গোটা মৌসুমে ৪৭ ম্যাচ খেলে ২৭ গোল করেছেন এই তারকা।

ফ্রাঙ্কফুর্ট বুঝতে পেরেছিল, এই ‘রত্ন’কে বেশি দিন রাখা যাবে না। তাই ধার চুক্তি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার বাই আউট ক্লজ (খেলোয়াড়ের চুক্তির একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থমূল্য, যা আগ্রহী ক্লাব পরিশোধ করলে মালিক ক্লাব আগ্রহী ক্লাবের কাছে খেলোয়াড়টিকে বিক্রি করতে বাধ্য থাকবে) ৬ মিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধ করে পাকাপাকিভাবে জোভিচকে দলে নিয়ে আসে তারা। যাতে পরে জোভিচকে বড় ক্লাবের কাছে বেশি দামে বিক্রি করা যায়। নিজেরা নিজেরা লাভের গুড় খাওয়া আর কি! জোভিচকে ৫২.৪ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি করার ফলে তাঁদের লাভ হয়েছে প্রায় ৪৬ মিলিয়ন পাউন্ডের মতো। যদিও জোভিচের চুক্তির একটি শর্ত অনুযায়ী এই ৪৬ মিলিয়ন পাউন্ডের মধ্যে ১০.৫ মিলিয়ন পাউন্ড বেনফিকাকে দিয়ে দিতে হবে। তা-ও তো ৩৬ মিলিয়ন পাউন্ড লাভ!

মৌসুমের সর্বশেষ ম্যাচে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে লড়তে নামবে ফ্রাঙ্কফুর্ট। সে ম্যাচ শেষে জোভিচের রিয়ালে নাম লেখানোর কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।