বিকল্প খেলোয়াড় তৈরি রাখছে বিসিবি

বিশ্বকাপে কেউ চোটে পড়লে বিকল্প খেলোয়াড় তৈরি থাকছে বিসিবির। ছবি: এএফপি
বিশ্বকাপে কেউ চোটে পড়লে বিকল্প খেলোয়াড় তৈরি থাকছে বিসিবির। ছবি: এএফপি

বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের দল ঘোষণার পর থেকেই যে প্রশ্নটি তাঁকে পেলেই করা হচ্ছে, সেটি আজও হলো। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করলেন, বিশ্বকাপ ২০১৯ দলে কি কোনো পরিবর্তন হবে? বিসিবির ইফতার পার্টিতে নাজমুল জানালেন, বিশ্বকাপের দলে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। তবে একটা বিকল্প দল তাঁরা তৈরি রাখছেন।

আগের ম্যাচে পেসার আবু জায়েদের ৫ উইকেট পাওয়ার পর এ নিয়ে আর কোনো আলোচনারই সুযোগ নেই। তবে চোট-আঘাতের ওপর কারও হাত নেই। সে রকম কিছু হলে পরিবর্তন হবে এবং তা সব দলেই হয়। সাতজনের একটা ব্যাকআপ তালিকাও নাকি হয়ে আছে এ কারণেই। ওপেনারদের মধ্যে কেউ চোটে পড়লে যেমন কপাল খুলবে ইমরুল কায়েসের। নাজমুল বললেন, ‘আমরা প্রতিটা পজিশনে একটি রিজার্ভ তালিকা তৈরি করেছি। এটা কাল করা হয়েছে। একজন পেসার চোটে পড়লে আরেকজনকে আমরা রিজার্ভ স্কোয়াড থেকে নিতে পারব। ওপেনিং কিংবা যেকোনো পজিশনের জন্য।’

বিকল্প খেলোয়াড়ের তালিকাটা কেমন, সেটিরও ধারণা দিলেন বিসিবি সভাপতি, ‘এখন আমাদের যে স্কোয়াড আছে সেটির বোলিং আক্রমণে আছে মোস্তাফিজ, রুবেল, সাইফউদ্দিন এবং মাশরাফিকে। আমাদের অতিরিক্ত একজন আছে রাহি (আবু জায়েদ)। কেউ চোটে পড়লে আমরা পেস বোলিং বোলিংয়ের রিজার্ভে রেখেছি তাসকিনকে। ওপেনিংয়ে রেখেছি ইমরুলকে, মিডল অর্ডার থেকে শুরু করে প্রতিটা জায়গার খেলোয়াড় নিয়ে একটা তালিকা করেছি। তাঁদের নিয়ে আমরা বাংলাদেশে একটা ক্যাম্প চালু করেছি এরই মধ্যে। যেন যেকোনো সময়ের জন্য প্রস্তুত রাখা যায়।’

আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের ছোটখাটো একটা মিলনমেলা হয়ে গেল সোনারগাঁ হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে। ক্রিকেটসংশ্লিষ্টদের নিয়ে বিসিবি আয়োজন করে ইফতার পার্টি। মালাহাইডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফাইনালের কথা মাথায় রেখে বড় পর্দায় খেলা দেখার ব্যবস্থা ছিল সেখানে। কিন্তু খেলা আর দেখা হলো কই! বড় পর্দার দিকে যতবার দৃষ্টি গেছে, দেখা গেছে মালাহাইডের উইকেট কাভারে ঢাকা।

বিসিবি সভাপতি অবশ্য জানালেন, এ ম্যাচে কী হচ্ছে না হচ্ছে, তা নিয়ে তাঁরা মোটেই চিন্তিত নন। আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জিত হয়ে গেছে ফাইনালে ওঠার পরই। অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর সাংবাদিকদের নাজমুল যা বললেন, সেটির সারমর্ম—ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল প্রতিটি ম্যাচে ভালো খেলা। প্রতিপক্ষের ওপর প্রভাব বিস্তার করে ফাইনাল নিশ্চিত করা। লিগ পর্বের সব ম্যাচ জিতে সেটি বাংলাদেশ দল করে দেখিয়েছে।