মোসাদ্দেকের নয়, দ্রুততম ফিফটি এখনো আশরাফুল-রাজ্জাকের

মোসাদ্দেক হোসেন। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ফিফটির পর। ছবি: এএফপি
মোসাদ্দেক হোসেন। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ফিফটির পর। ছবি: এএফপি
>ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ২০ বলে নয়, ২৩ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন

দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল জিতিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। ম্যাচটি যাঁরা শেষ পর্যন্ত দেখেছেন, তাঁরা জানেন, ২৭ বলে ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক। কিন্তু ক্রিকেটের জনপ্রিয় কিছু সংবাদমাধ্যমের সাইটে দেখানো হয়, ২৪ বলে ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন এ ব্যাটসম্যান। আর এই পথে তিনি ২০ বলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। এতে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটা হয়ে যায় মোসাদ্দেকের। এটি আসলে তথ্যগত ভুল। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি এখনো মোহাম্মদ আশরাফুল ও আব্দুর রাজ্জাকের দখলে।

ক্রিকইনফো, ক্রিকবাজের মতো জনপ্রিয় সাইটগুলোর ভুলে মোটামুটি চাউর হয়ে যায় আশরাফুল-রাজ্জাকের রেকর্ড ভেঙেছেন মোসাদ্দেক। আসলে তা নয়। ৩ বলের এ গড়বড় হয়েছে ১৮তম ওভারে। ফাবিয়েন অ্যালেনের করা সেই ওভারে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বল খেলেছেন মোসাদ্দেক। কিন্তু জনপ্রিয় প্রায় সব সাইটের ধারাভাষ্যেই দেখানো হয়, ওই তিন বল খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। গলদটা ঠিক এখানেই। প্রায় সব সাইটের সরাসরি ধারাভাষ্যেই দেখানো হয়, ১৮তম ওভার শেষে মোসাদ্দেক ৫ বলে ৭ রানে অপরাজিত। সেটি হবে আসলে ৮ বলে ৭ রান।

অর্থাৎ তিনটি বল বেশি খেলেছেন মোসাদ্দেক। ম্যাচের ভিডিও ফুটেজে তা ধরা পড়েছে। ২২ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক। পরের বলে ২ রান নিয়ে তুলে নেন নিজের ক্যারিয়ারের দ্রুততম ওয়ানডে ফিফটি। কিন্তু সেটি বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ভাঙতে পারেনি। সেই রেকর্ড এখনো মোহাম্মদ আশরাফুল ও আব্দুর রাজ্জাকের দখলে। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২১ বলে ফিফটি করেছিলেন আশরাফুল। আর ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রাজ্জাকও ফিফটি করেছিলেন ২১ বলে। দ্রুততম বিচারে এ দুজনের পরই রয়েছেন মোসাদ্দেক।