লা লিগায় জামাল ভূঁইয়ার এক সন্ধ্যা

গতকাল লা লিগার স্টুডিওতে জামাল ভূঁইয়া। সংগৃহীত ছবি
গতকাল লা লিগার স্টুডিওতে জামাল ভূঁইয়া। সংগৃহীত ছবি
>লা লিগায় গতকাল রিয়াল ভায়াদোলিদ আর ভ্যালেন্সিয়ার মধ্যকার ম্যাচের ধারাভাষ্যে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। কেমন ছিল সে অভিজ্ঞতা?

গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল জামাল ভূঁইয়া। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কের লা লিগায় একধরনের ‘অভিষেক’ই হয়েছে কাল। তবে মাঠে নয়, স্টুডিওতে বলে রিয়াল ভায়াদোলিদ ও ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচের ধারাভাষ্য দিয়েছেন তিনি।

মাইক্রোফোন হাতে এ ম্যাচ নিয়ে কথা তো বলেছেনই। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ আর বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। ফিফা র‌্যাঙ্কিং নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আগামী তিন বছরে তিনি বাংলাদেশের ফুটবলকে কোথায় দেখতে চান। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের র‌্যাঙ্কিং ১৮৮, এটি কিছুটা অস্বস্তি তৈরি করলেও জামাল স্পষ্ট জানিয়েছেন র‌্যাঙ্কিংটা ১২০-এর আশপাশে নিয়ে আসতে পারলে খুশি তিনি। আর এ মুহূর্তে এটিই লক্ষ্য তাঁর।

ডেনমার্কের আলো–বাতাসে বড় হয়েছেন জামাল। এই বিষয় জানাই ছিল উপস্থাপকের। ডেনমার্ক থেকে নিজের পিতৃভূমি বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়ানো এবং পরবর্তী সময়ে দেশের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে তাঁকে। জানতে চাওয়া হয়েছে ইউরোপ ও বাংলাদেশের ফুটবলের পার্থক্য সম্বন্ধে। জামাল শারীরিক সক্ষমতাকেই মূল পার্থক্য বলেছেন, ‘ইউরোপিয়ান ফুটবলের সঙ্গে বাংলাদেশের ফুটবলের পার্থক্য অনেক। তবে শারীরিক সক্ষমতার পার্থক্য অনেক বেশি। শক্তি, গতিতে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। টেকনিক্যালি পার্থক্যটা খুব বেশি নয়।’


লিওনেল মেসিকেই হালেরে সেরা ফুটবলার মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কোনো দিন যদি খেলার সুযোগ হয়, তাহলে রিয়াল মাদ্রিদই তাঁর পছন্দ—এটিও জানিয়েছেন তিনি। সামনেই চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। ২ জুন মাদ্রিদের ফাইনালে ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুলকে এগিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।