মৌসুম শেষ এতেই খুশি জিদান

আরেকটা হতাশার দিন দিয়ে শেষ হলো রিয়ালের মৌসুম। ছবি: এএফপি
আরেকটা হতাশার দিন দিয়ে শেষ হলো রিয়ালের মৌসুম। ছবি: এএফপি

মৌসুমের শেষটাও ভালো হয়নি রিয়াল মাদ্রিদের। রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে বার্নাব্যুতেই ২-০ গোলে হেরেছে রিয়াল। এমন হারেও খুব একটা হতাশ নন জিনেদিন জিদান। হতাশার এক মৌসুম শেষ হয়েছে, আপাতত এতেই স্বস্তি খুঁজে নিচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ।

নিজেদের ইতিহাসে অন্যতম বাজে এক মৌসুম কাটিয়েছে রিয়াল। তিনটি শিরোপাই হাতছাড়া নিশ্চিত হয়েছে মার্চেই। শিরোপাহীন মৌসুম এর আগেও কাটিয়েছি রিয়াল। তবে এ মৌসুমটা একটু হলেও ব্যতিক্রম। দল গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে অধিকাংশ ম্যাচে, রক্ষনেও বাজে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে মৌসুম জুড়ে। ৩৮টি লিগ ম্যাচের ১২টিতেই হেরেছে তারা! বার্সেলোনা থেকে ১৯ পয়েন্ট পিছিয়ে তৃতীয় হয়েছে রিয়াল।

আজ বেতিসের বিপক্ষে রিয়ালের খেলায় কোনো প্রাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমন হতাশামাখা দিনে জিদান তাই মৌসুম শেষ হওয়াতেই আনন্দ পাচ্ছেন, ‘এমন না যা আমরা জিততে চাইনি। সত্যি হলো আমরা জিততেই পারছি না। আমাদের জন্য এখন সবচেয়ে ভালো ব্যাপারটা হলো মৌসুম শেষ হয়ে গেছে এবং পরের বছরের জন্য চিন্তা করা শুরু করতে পারব। কারণ পরের বছর অবশ্যই এটা বদলাবে।’

এ মৌসুমটা বাজে বাজে কেটেছে সেটা সরাসরি স্বীকার করে নিয়েছেন জিদান। পরের মৌসুমে এমন কিছু যেন দেখতে না হয় সেটার নিশ্চয়তাও দিলেন রিয়াল কোচ, ‘ব্যাপারটা একটু জটিল কিন্তু আমাদের স্বীকার করতেই হবে এ মৌসুমটা বাজে ছিল। শুরু থেকেই কঠিন ছিল, আমার সঙ্গে শেষটাও তাই ছিল। এটাই বাস্তবতা। আমাদের এখন পরের বছর নিয়ে চিন্তা করতে হবে এবং আমাদের সমর্থকদের আবারও খেলা নিয়ে আগ্রহী করে তুলতে হবে। প্রাক মৌসুমে আমরা প্রস্তুতি নেব ভালো করে। আমরা বলছি না পরের বার আমরা সবকিছু জিতব কিন্তু প্রথম মিনিট থেকে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। এবং অন্যদের সঙ্গে লড়ব।’

পরের মৌসুমের প্রস্তুতি মানেই দল নতুন করে সাজিয়ে নেওয়া। রিয়াল এর মাঝেই সে পথে পা ফেলেছে। নতুন দুজন খেলোয়াড়কে দলে টেনেছে তারা। আর আজ কেইলর নাভাস ও গ্যারেথ বেলের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। ম্যাচ শেষেই দর্শকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন নাভাস। বেল মাঠে নামতে না পারলেও তাঁর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। জিদান অবশ্য এখনো এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি নন, ‘বেল থাকবে কি না সেটা দেখা যাবে। সত্যি বলছি আমি এখনো জানি না কী হবে। আমি ইদানীং অন্য খেলোয়াড়দের ওপর ভরসা রেখেছি, সেটা তো দেখাই গেছে। আজ যদি আমাকে আরও একবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো, একই সিদ্ধান্ত নিতাম।’

বেলের ব্যাপারে যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিয়েই থাকেন তবে টানা তিন ম্যাচে তাঁকে বসিয়ে রাখা কেন? জিদান নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সে সিদ্ধান্তের, ‘আমি প্রতিদিন আলাদা করে ভাবতে হয় এবং নির্দিষ্ট একটি দিনের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যখন কোনো কিছু আমার ভালো লাগে না বা আমার সঙ্গে যায় না, তখন যেটা ভালো মনে হয় সে সিদ্ধান্তই নেই। যে খেলোয়াড় এখানে অনেক কিছু জিতেছে তার জন্য এটা হয়তো মেনে নেওয়া কঠিন কিন্তু দিনের সিদ্ধান্ত দিনের জন্যই নেওয়া হয়।’