জেমি নিয়ে ভাবনা, আর না আর না!

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডের ঢাকা আসার দিনক্ষণ অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। ফাইল ছবি

আগামী মাসের ৬ তারিখে বিশ্বকাপ প্রাকবাছাইয়ের ম্যাচ বাংলাদেশের। খেলার বাকি নেই তিন সপ্তাহও। অথচ বাংলাদেশ দলের কোচেরই কোনো খবর নেইর। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সূত্র বেশ কয়েকবার বদলেছে জেমির ঢাকা আসার দিনক্ষণও। দেশের ফুটবলের সাম্প্রতিক অতীত বিবেচনা করে ফুটবল সমর্থকদের মনে অস্বস্তির চোরা স্রোত বইতে শুরু করেছিল। দুশ্চিন্তার সমাপ্তি টেনেছে বাফুফে। অবশেষে জেমির ঢাকা আসার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা এসে পৌঁছাবেন ৩৯ বছর বয়সী কোচ।

জেমির ঢাকা আসার খবরটি প্রথম আলোকে নিজেই জানিয়েছেন বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ, ‘আমি বুধবার ঢাকার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ব। বৃহস্পতিবার ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে।’ বাংলাদেশের সঙ্গে জেমি ডের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে ৪ মে। গত বছর মে মাসে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব নেওয়া ৩৯ বছর বয়সী কোচের সঙ্গে নতুন করে এক বছরের চুক্তি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

জেমি আসার পরেই শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাই প্রস্তুতি। বাছাইয়ে লাওসের বিপক্ষে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলবে বাংলাদেশ। ৬ জুন বাংলাদেশকে প্রথম ম্যাচ খেলতে হবে প্রতিপক্ষের মাটিতে। দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচটি ১১ জুন ঢাকায়। প্রতিপক্ষ হিসেবে লাওস বাংলাদেশের কাছে যথেষ্ট পরিচিত। গত বছরের অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে এই লাওসকেই সিলেটে ১-০ গোলে হারিয়েছিল জেমি ডের দল। এর আগে অ্যান্ড্রু ওর্ডের আমলে গত বছর মার্চে ভিয়েনতিয়েনে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোল পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ।

লাওস বধের লক্ষ্যে থাইল্যান্ডে প্রস্তুতি নেবে বাংলাদেশ। ২৪ মে থাইল্যান্ড যাবে দল। সেখান থেকেই লাওস। এর আগে ২৮ মে ও ১ জুন থাই লিগের দুইটি দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এয়ার ফোর্স ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে জামাল ভূঁইয়ারা প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন ২৮ মে। ১ জুন দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ ব্যাংকক গ্লাস পাথুম ইউনাইটেড। এই দুটি ক্লাবই গত মৌসুমে থাই লিগ-১ থেকে নেমে গেছে থাই লিগ-২ তে।

লাওস বাধা টপকাতে পারলে আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। সঙ্গে থাকা যাবে কাতার বিশ্বকাপ খেলার নামকাওয়াস্তে দৌড়েও। কিন্তু ব্যর্থ হলে দিতে হতে পারে চরম মূল্য। ছিটকে যেতে হবে আগামী চার বছরের আন্তর্জাতিক ফুটবলের মূল স্রোত থেকে। কারণ, বাদ পড়াদের জন্য এখনো পরবর্তী চার বছরের কোনো সূচি ঘোষণা করেনি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। যদিও গতবার বাদ পড়ে যাওয়া দলগুলো নিয়ে এএফসি সলিডারিটি কাপের আয়োজন করেছিল এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।