বাংলাদেশ ৯৬-এর শ্রীলঙ্কার মতো, বললেন আমিনুল

আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলেছিল বাংলাদেশ। ফাইল ছবি
আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলেছিল বাংলাদেশ। ফাইল ছবি

১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কান দলের কথা মনে আছে? সেই যে সনৎ জয়াসুরিয়া আর রমেশ কালুভিতারানার উড়ন্ত শুরু, প্রতিপক্ষের বোলারদের এলোমেলো করে দেওয়ার কৌশল। স্কোরবোর্ডের চাকা দ্রুত ঘুরিয়ে চাপ তৈরি করা, পরে অভিজ্ঞদের স্থিতধী ব্যাটিং—এভাবেই তো সেবার বিশ্বকাপ জিতেছিল অর্জুনা রানাতুঙ্গার দল। ক্রিকেটবোদ্ধারা অবাকই হয়েছিলেন সেবার। লঙ্কানরা ভালো দল, কিন্তু তাই বলে বিশ্বকাপ জয়! বোদ্ধা, বিশ্লেষকদের ফেবারিটের তালিকাটা সেবার মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছিল। মিথ্যে প্রমাণ করেছিলেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা তাঁদের অনন্য, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট দিয়েই। ক্রিকেট  বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম কেন যেন মাশরাফির দলের মধ্যে ১৯৯৬ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার প্রচ্ছন্ন ছায়া দেখতে পাচ্ছেন।

বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের খেলার ধরনই আমিনুলকে মনে করিয়ে দিচ্ছে লঙ্কানদের কথা, ‘বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপ দলটি অনেকটা ৯৬ বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কার মতো। এই দলে শুরুতে ঝুঁকি নেওয়ার খেলোয়াড় আছে, তাদের সে সামর্থ্যও আছে। আবার পরে ধরে খেলার খেলোয়াড়ের সংখ্যাও কম নয়। নিজেদের মতো করে খেলতে পারলে এবারের বাংলাদেশ বিশ্বকাপে যেকোনো দলকেই ভড়কে দিতে পারে।’
আমিনুলের মতে বাংলাদেশের বোলিং ‘বৈচিত্র্যপূর্ণ’, ‘আমার কাছে মনে হয় এটি। আমাদের বোলিং বৈচিত্র্যপূর্ণ। কারও সঙ্গে কারও মিল নেই। মাশরাফি একরকম, রুবেল আর জায়েদ পুরোপুরি দুই রকম। মোস্তাফিজ আবার আরেক রকম। আমাদের দুই স্পিনার মেহেদী মিরাজ আর সাকিব আল হাসানও দুরকম স্পিনার। আমাদের কেবল দরকার সামর্থ্যের প্রয়োগ।’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা দেখেন আমিনুল। ছবি: প্রথম আলো
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা দেখেন আমিনুল। ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে উচ্ছ্বসিত দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান, ‘আমি বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। দারুণ একটা ব্যাটিং লাইনআপ আমাদের। দীর্ঘ ব্যাটিং লাইনআপ। সবচেয়ে বড় কথা, প্রায় প্রতিটি ব্যাটসম্যানই দারুণ ফর্মে আছেন। আয়ারল্যান্ডের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে বিশ্বকাপে আত্মবিশ্বাসটা তুঙ্গেই থাকবে।’

সাকিব আল হাসানকে একটু নিচের দিকে ব্যাটিং করানোর পক্ষে আমিনুল। কেন, সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি, ‘সাকিব আসলে তিন নম্বরে ব্যাটিং করার ব্যাটসম্যান নয়। আমি সাকিবকে আরও একটু নিচের দিকে চাই। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপে আমাদের অনেক বড় বড় রান তাড়া করতে হবে। সে কারণে সাকিবকে একটু নিচের দিকে দরকার পড়বে। তিনে নেমে ওর মতো ব্যাটসম্যান দ্রুত আউট হয়ে গেলে সেটা দলের জন্য চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’

তাহলে তিনে ব্যাটিং করবেন কে? মুশফিকুর রহিম। আমিনুল অবশ্য মুশফিককেও সেখানে খেলার পক্ষপাতি নন, ‘মুশফিক আমাদের দলের সেরা ব্যাটসম্যান। মুশফিক চারে নামুক। আমি ওয়ান ডাউনে এমন একজনকে চাচ্ছি, যে ব্যাটসম্যানের নতুন বল নিয়মিত খেলার অভিজ্ঞতা আছে।’