প্রত্যাশায় লাগাম টানতে বলে গেলেন মাশরাফি

মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রথম আলো ফাইল ছবি
মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রথম আলো ফাইল ছবি
>বিশ্বকাপে খেলতে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। যাওয়ার আগে সমর্থকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রত্যাশার পারদটা নিচের দিকে রাখতে।

আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে ছুটিতে দেশে ফিরেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ওদিকে মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকরা সেখান থেকেই চলে গেছেন ইংল্যান্ড। দলের সঙ্গে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়েছেন মাশরাফি। বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে কাল। তার আগেই দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা মাশরাফির। প্রত্যাশার পারদটা নিচে রাখার অনুরোধ জানিয়েই ইংল্যান্ডে গেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক।

ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পর এমনিতেই সন্তুষ্টির আমেজে আছেন বাংলাদেশের সমর্থকেরা। বিশ্বকাপেও দল অনেক ভালো করবে, এমন প্রত্যাশা বেশির ভাগের। অনেকে তো এবারের বাংলাদেশ দলকে তুলনা করছেন ১৯৯৬ বিশ্বকাপের শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। তার মানে কল্পনায় দু-একজন হয়তো শিরোপাই দেখছেন বাংলাদেশ দলের হাতেও! মাশরাফি কিন্তু মাটিতেই পা রাখছেন। বিশ্বকাপে খেলতে দেশ ছাড়ার আগে অধিনায়ক মনে করিয়ে দিলেন, প্রথম তিনটি ম্যাচে প্রতিপক্ষ কিন্তু খুব শক্তিশালী দল। তাই শুরুতেই প্রত্যাশার পারদ না চড়ানোই ভালো।
সংবাদমাধ্যমকে মাশরাফি বলেন, ‘আমাদের জন্য অনেক কঠিন হবে। কারণ, প্রথম তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষ খুবই শক্তিশালী। তাদের বিপক্ষে ইতিবাচক ফল (জয়) তুলে নেওয়া মোটেই সহজ হবে না।’

২ জুন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়ে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ। মাঝে দুদিন বিরতির পর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ৮ জুন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে ৯টি দলই একে অপরের মুখোমুখি হবে, এখান থেকে শীর্ষ চার দল নাম লেখাবে সেমিফাইনালে।

বাংলাদেশ দল নিয়ে সমর্থকদের প্রত্যাশা গত কয়েক বছরে অনেক পাল্টেছে। অধিনায়ক তা জানেন বলেই মনে করিয়ে দিলেন বিশ্বকাপ কতটা কঠিন টুর্নামেন্ট। ‘গত পাঁচ-সাত বছরে লোকে আমাদের খেলা দেখতে আসে জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে। আমি যেটুকু বলতে পারি, বিশ্বকাপ সম্পূর্ণ আলাদা একটা টুর্নামেন্ট। ইংল্যান্ডে খেলা দেখে থাকলে দেখবেন, অনেক রান হয়। তাই আলাদা কৌশল লাগবে’—দেশ ছাড়ার আগে বলে গেছেন মাশরাফি।