পাকিস্তানকে বিশ্বকাপের আগে সাবধান করল আফগানিস্তান

জাজাইয়ের তোপে পাকিস্তানের বোলাররা কেপে উঠেছিলেন। ছবি: এএফপি
জাজাইয়ের তোপে পাকিস্তানের বোলাররা কেপে উঠেছিলেন। ছবি: এএফপি

ম্যাচটা শেষ ওভারে গড়াবে, এটাই ভাবা যায়নি। ২৬২ রান তাড়া করতে নেমে ছুটছিল আফগানিস্তান। রিভার্স সুইংয়ে পসরা সাজানো আর দলে ঢোকা নিয়ে ওঠা প্রশ্ন মুছে দেওয়া এক স্পেলে ম্যাচটা জমিয়ে দিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। ২ বল বাকি থাকতে আফগানিস্তানের ৩ উইকেটের জয় তবু আটকানো গেল না। ওয়ানডেতে টানা ১০ ম্যাচ হারার পর প্রস্তুতি ম্যাচেও হারল পাকিস্তান।

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই মোহাম্মদ শেহজাদের মাঠ ছেড়ে যাওয়া নিশ্চিত হয়েছে বাঁ হাঁটুর চোটে। তবু প্রথম ১০ ওভারে ৭৮ রান তুলে ফেলেছিল আফগানিস্তান। শাহিন শাহ আফ্রিদি ও ওয়াহাব রিয়াজদের যে মাঠের আনাচকানাচে আছড়ে ফেলছিলেন হজরুতউল্লাহ জাজাই। ২৮ বলে ৪৯ রান করা জাজাই আউট হওয়ার পর হাঁফ ছেড়ে বাঁচে পাকিস্তান। আর তাতেই ম্যাচটার দৈর্ঘ্য বেড়েছে।

দুই আক্রমনাত্মক ওপেনারকে হারিয়ে ধীরে এগোনোর পথে হেঁটেছে আফগানিস্তান। রহমত শাহ ও হাসমতউল্লাহ শহীদি ইনিংস গড়ায় মনোযোগ দিয়েছেন এরপর। রহমত শাহর পর সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ও মোহাম্মদ নবী (৩৪) হাসমতউল্লাহকে সঙ্গ দিয়েছেন। ৪ উইকেটে ২৪৪ রান তুলে অনায়াস জয় দেখছিল আফগানিস্তান। মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে নবী আউট হওয়ার পর একটু নড়েচড়ে বসেন দর্শকেরা। ৩ ওভারে ১৬ রান দরকার ছিল আফগানিস্তানের। ওয়াহাব রিয়াজের রিভার্স সুইংয়ের সামনে অনভ্যস্ত আফগানিস্তান ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২ রান তুলতে পেরেছিল।

শাদাব খানের পরের ওভারে ১০ রান তুলে কাজ এগিয়ে রাখেন হাসমতউল্লাহ। শেষ ওভারেও রিভার্স সুইং আর ইয়র্কার দিয়ে চেষ্টা করেছেন রিয়াজ। কিন্তু আফগানিস্তানের জয় নিশ্চিত করে তবেই মাঠ ছেড়েছেন হাসমতউল্লাহ (৭৪*)।

এর আগে ১৩ বল আগেই ২৬২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। মোহাম্মদ নবীর সুবাদে ১২ ওভারে ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে একাই টেনেছেন বাবর আজম। বাবর (১১২) ফিরে যাওয়ার পর মাত ২ ওভার টিকেছে পাকিস্তান। ১৬ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়েছে দলটি। আগামী রোববার বাংলাদেশের বিপক্ষে আবার প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে দলটি।