৩০০-৩৫০ রানকে ভয় পাচ্ছেন না রুবেল

কাল সংবাদমাধ্যমের সামনে রুবেল। ছবি: প্রথম আলো
কাল সংবাদমাধ্যমের সামনে রুবেল। ছবি: প্রথম আলো

ভালো মেজাজেই আছেন রুবেল হোসেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেই মুখে হাসি ঝুলিয়ে বললেন, ‘নেন, ভালো করে ছবি তোলেন। তবে কঠিন প্রশ্ন কইরেন না!’ সাংবাদিকেরা আর কতটা কঠিন প্রশ্ন করবেন। রুবেলদের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা তো নেবেন ব্যাটসম্যানরা।

দিনে দিনে ব্যাটসম্যানদের খেলা হয়ে ওঠা ক্রিকেট আইসিসির টুর্নামেন্টে আরও ব্যাটিংবান্ধব হয়ে ওঠে। বিনোদনের পসরা সাজিয়ে বিপুল দর্শক টানতে আইসিসির টুর্নামেন্ট মানেই চার-ছক্কার খেলা। আর এটি সফল করতে বোলারদের হাত-পা বেঁধে ফেলা, বেশির ভাগ ম্যাচেই তাঁদের অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছুর উপায় থাকে না। কার্ডিফের যে সোফিয়া গার্ডেনসে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ, এই মাঠও যে রানপ্রসবা, কাল দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দেখা গেল। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩৩৮ তুলেছে প্রোটিয়ারা।

প্রস্তুতি ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করতে ইচ্ছা না জাগলে আরেকটি তথ্য দেওয়া যাক। এ মাঠেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ জুন বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। তাই ২০১৯ বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা কার্ডিফেই হচ্ছে বাংলাদেশের। কার্ডিফে এসে বাংলাদেশ দলকে প্রথম অনুশীলনটা করতে হয়েছে শহরের ঐতিহ্যবাহী ক্যাথেড্রাল স্কুলের মাঠে। সেখানেই দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা রুবেল জানালেন, যতই রানের খেলা হোক, চ্যালেঞ্জ নিতে তাঁরা প্রস্তুত, ‘আয়ারল্যান্ডে একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ খেললাম। ইংল্যান্ডেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে আমাদের। জানি এখানে আমাদের (বোলার) জন্য কাজটা কঠিন হবে। এখানে ৩০০-৩৫০ রান সহজেই হয়ে যায়। এখানে আমরা কীভাবে সফল হতে পারি, অবশ্যই একটা পরিকল্পনা থাকবে আমাদের। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে কীভাবে আমরা কম রান দিতে পারি বা উইকেট বের করতে পারি।’

রুবেলের আত্মবিশ্বাসী চেহারাটা যেন পুরো দলেরই প্রতিচ্ছবি। কদিন আগের ফাইনাল জয়ের আত্মবিশ্বাস তো আছেই। রুবেল জানালেন আরেকটি সুখবর, দলে খেলোয়াড়দের যে টুকটাক চোটাঘাত ছিল, প্রায় সেরে গেছে। নিজেই যেমন পুরো ছন্দে বোলিং শুরু করেছেন। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের আগে চোট পাওয়া সাকিব আল হাসানও সেরে উঠেছেন। কাঁধের চোটে পড়ায় মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে বোলিং সেবা পাওয়া যাচ্ছে না অনেক দিন হলো। কাল তাঁকে দেখে মনে হলো, বোলিং করতে উন্মুখ। নেটে হাত ঘুরিয়েছেন। হাত ঘুরিয়ে অবশ্য খুব একটা স্বস্তি পেলেন না। বোলিংয়ে পুরো ছন্দ ফিরে পেতে আরেকটু সময় লাগতে পারে মাহমুদউল্লাহর।

রুবেল মনে করেন, দলের এই চনমনে চেহারাটা তাঁদের সহায়তা করবে এবারের টুর্নামেন্ট রাঙাতে, ‘সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস আছে। সবশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজে আমরা খুব ভালো ব্যাটিং, বোলিং করে বিশ্বকাপে পা রেখেছি। এটা আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। আশা করি সবাই ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে। সবাই যদি নিজের ভূমিকা বোঝে, ভালো করতে পারে, আশা করি ভালো কিছুই হবে।’