গোল্ডেন শু গেল মেসির কাছেই

মেসির ট্রফিকেসে যুক্ত হচ্ছে এমন আরেকটি গোল্ডেন শু। ছবি : টুইটার
মেসির ট্রফিকেসে যুক্ত হচ্ছে এমন আরেকটি গোল্ডেন শু। ছবি : টুইটার
>এমবাপ্পে চোখ রাঙিয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত। পুরো মৌসুম মেসির পেছনে দৌড়ে শেষমেশ গোল্ডেন শু জেতা হলো না এই ফরাসি তারকার। এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ‘ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু’ গেল মেসির কাছেই

লিগে গোল করার দৌড়ে মেসিকে টপকাতে হলে শেষ ম্যাচে রেঁসের বিপক্ষে পাঁচ গোল করতে হতো পিএসজির স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। এমবাপ্পে করলেন এক গোল। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে গেল, ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু মেসির কাছেই যাচ্ছে।

এবার লিগে ৩৪ ম্যাচ খেলে ৩৬ গোল করেছেন মেসি। মেসির পিঠে চড়েই মূলত আবারও ঘরোয়া লিগ জিতেছে বার্সেলোনা। ওদিকে এমবাপ্পে পিএসজির হয়ে করেছেন ৩৩ গোল। দলকে লিগ জেতাতে সাহায্য করেছেন ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ডও। কিন্তু মেসিকে টপকে ইউরোপের সেরা গোলদাতা হতে পারেননি।

এ নিয়ে টানা তিন মৌসুম এই পুরস্কার জিতলেন মেসি। ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত ছয়বার গোল্ডেন শু জেতা হয়ে গেল তাঁর। এ পুরস্কার এত বেশিবার আর কেউ জিতেননি। সম্মানজনক এই পুরস্কার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পেয়েছেন চারবার। মেসির বার্সা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজের ভাগ্যে জুটেছে দুবার। মেসি-রোনালদো-সুয়ারেজের কারণে গত ১১ বছরের প্রত্যেকবার এই পুরস্কার এসেছে স্পেনে। এ সময় অন্য দেশের শীর্ষ লিগের কোনো খেলোয়াড় এই পুরস্কার জিততে পারেননি। সর্বশেষ ২০০৭-০৮ মৌসুমে স্পেনের বাইরের কোনো ক্লাবের খেলোয়াড় এই পুরস্কার জিতেছিল। সেবারও জিতেছিলেন রোনালদো, তখন তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলতেন।

মেসি এবার গোল্ডেন শু জিতলেন ৩১ বছর ১১ মাস ২৫ দিনে। মেসির চেয়ে বেশি বয়সে এই পুরস্কার মাত্র একজন জিতেছিলেন, রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক মেক্সিকান তারকা হুগো সানচেজ। ১৯৯০ সালে সানচেজ যখন গোল্ডেন শু জেতেন, তাঁর বয়স ছিল মেসির চেয়ে এক মাস এক দিন বেশি।

এবার মেসি ও এমবাপ্পে ছাড়া গোল্ডেন শু জেতার দৌড়ে ছিলেন ফাবিও কোয়ালিয়ারেল্লা (সাম্পদোরিয়া, ২৬ গোল-৫২ পয়েন্ট), এমবায়ে দিয়াগনে (গ্যালাতাসারাই, ৩০ গোল-৪৫ পয়েন্ট), মোহাম্মদ সালাহ (লিভারপুল, ২২ গোল-৪৪ পয়েন্ট), সাদিও মানে (লিভারপুল, ২২ গোল-৪৪ পয়েন্ট), রবার্ট লেফানডফস্কি (বায়ার্ন মিউনিখ, ২২ গোল-৪৪ পয়েন্ট), পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াং (আর্সেনাল, ২২ গোল-৪৪ পয়েন্ট)।