'যুদ্ধ' শেষেই স্ত্রীদের কাছে পাবেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা

স্ত্রী-বান্ধবীদের সঙ্গ পাচ্ছেন সরফরাজরা! ছবি : এএফপি
স্ত্রী-বান্ধবীদের সঙ্গ পাচ্ছেন সরফরাজরা! ছবি : এএফপি
>

বিশ্বকাপে পাকিস্তানি তারকাদের সঙ্গে স্ত্রী-বান্ধবীদের থাকার অনুমতি দেয়নি পিসিবি। কিন্তু দলের সাম্প্রতিক বাজে ফর্ম ও অন্যান্য দলের অনুমতি দেওয়া দেখে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসার চিন্তা ভাবনা করছে পিসিবি। স্ত্রী-বান্ধবীদের থাকার অনুমতি তারাও দেবে, তবে একটা বিশেষ শর্তে!

এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ হবে প্রায় দেড় মাস ধরে। এত দিন ধরে স্ত্রী-বান্ধবীদের সঙ্গ ছাড়া কি থাকা সম্ভব? কিন্তু বেরসিক পিসিবি কিছুদিন আগে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, খেলোয়াড়েরা নিজেদের স্ত্রী-বান্ধবীদের ইংল্যান্ডে নিয়ে যেতে পারবেন না।

পিসিবির মনে হয়েছিল, স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে গেলে ক্রিকেটারদের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটবে, পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জেতার পথে যা অন্তরায় হয়ে দেখা দিতে পারে। কিন্তু পিসিবি নিজেদের অবস্থা থেকে আস্তে আস্তে সরে আসছে। বিশ্বকাপে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্ত্রী-বান্ধবী থাকতে পারবে, কিন্তু সেটা ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নয়!

কিছুদিন আগে স্ত্রী-বান্ধবীদের ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে পিসিবিকে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। পিসিবি কর্ণপাত করেনি। বিশেষ বিবেচনায় আসিফ আলী ও হারিস সোহেলকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন আগে আসিফ আলীর দুই বছর বয়সী কন্যাসন্তান ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে মারা গেছে, হারিস সোহেলেরও পারিবারিক সমস্যা চলছিল।

এখন অন্যান্য দেশের অনুমতি দেওয়া দেখে পিসিবির টনক নড়েছে। তার ওপর পাকিস্তানের ফর্মও যাচ্ছে জঘন্য। কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার কাছে আরব আমিরাতে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়া পাকিস্তান ইংল্যান্ডের কাছেও সিরিজ হেরেছে ৪-০ ব্যবধানে। একটা ম্যাচও জিততে পারেনি। স্ত্রী-বান্ধবী সঙ্গে না থেকে তাহলে লাভ হচ্ছে কোথায়? এ কারণেই ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে আসার অনুমতি দিচ্ছে পিসিবি। কিন্তু টুর্নামেন্টের প্রথম থেকেই তাদের ইংল্যান্ডে আনতে পারবেন না। আনতে পারবেন শুধু ভারতের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটার পরেই।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটার আবেদন, গুরুত্ব, দুই দলের কাছেই আকাশছোঁয়া। পিসিবি চাচ্ছে, স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে আসার কথা বলে যদি খেলোয়াড়দের উদ্দীপ্ত করা হয়, সেটা ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের ফলাফলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে তাদের জন্য। পাকিস্তানি খেলোয়াড়েরাও সেই আগ্রহে ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলার একটা আলাদা প্রেরণা পাবেন। তার ওপর, দুই দেশের সাম্প্রতিক অবস্থাও বন্ধুসুলভ নয়। কাশ্মীর হামলাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কের অনেক অবনতি হয়েছে, সে আঁচ লেগেছে ক্রিকেটেও। দুই দলই এখন যেকোনো মূল্যে পরস্পরকে হারাতে চায়। এবারের পাকিস্তান-ভারত ম্যাচটা আর শুধু ক্রিকেটীয় গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নেই।

জুনের ১৬ তারিখে ম্যানচেস্টারে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান।