শিরোপাটা তাহলে হাতছাড়াই হলো

ফাইনাল জয়ের উদ্‌যাপনে ভ্যালেন্সিয়া। ছবি: এএফপি
ফাইনাল জয়ের উদ্‌যাপনে ভ্যালেন্সিয়া। ছবি: এএফপি
>কোপা দেল রের ফাইনালে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে বার্সেলোনা। ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে গোল করেছেন কেভিন গামেইরো ও রদ্রিগো। বার্সেলোনার একমাত্র গোলটি করেন লিওনেল মেসি।

কোপা দেল রের শিরোপাটি নিজেদেরই করে নিয়েছিল বার্সেলোনা! সর্বোচ্চ ৩০ বারের চ্যাম্পিয়ন তো বটেই, গেল চার মৌসুমে টানা শিরোপাজয়ী স্প্যানিশ জায়ান্টরা শেষ পর্যন্ত থেমেছে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে। মেসির একমাত্র গোলে ব্যবধান কমলেও শিরোপার দখল ধরে রাখতে পারেনি কাতালানরা। প্রায় ১১ বছর পর শিরোপা পুনরুদ্ধার করা ভ্যালেন্সিয়া এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো কোপা দেল রের শিরোপা ঘরে তুলল। অন্যদিকে, চ্যাম্পিয়নস লিগে অমন লেজেগোবরে বিদায়ের পর বার্সেলোনার ‘ডাবল’ জয়ের স্বপ্নও কঙ্কাল হয়ে গেল।

ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বল দখল আর আক্রমণে এগিয়ে থাকা বার্সেলোনা প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে পিছিয়ে যায়। ২১তম মিনিটে কেভিন গামেইরোর গোলে এগিয়ে যাওয়া ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই মেসিদের বুকে ছুরি চালাতে পারত। এ যাত্রায় লংলের ভুল পাসের খেসারত দিতে বসা বার্সেলোনাকে রক্ষা করেন পিকে। তবে ২১তম মিনিটে হোসে গায়ার বাড়ানো বলে গামেইরোর জোরালো শট শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক সিলেসেন। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়া বার্সেলোনা প্রথমার্ধেই আরও এক গোল হজম করে বসে। ৩৩ মিনিটে রদ্রিগোর গোলে ব্যবধান বাড়ায় ভ্যালেন্সিয়া। খেলার প্রথমভাগে মেসি নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন। বলা যেতে প্রথমার্ধের পুরোটা সময় মেসিকে বোতলবন্দী করে রাখতে সক্ষম হয়েছিল ভ্যালেন্সিয়ার রক্ষণ। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে এসে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের একটা শট গোলমুখ বরাবর ছিল।

মেসির গোলে খানিকটা আশা জুগিয়েছিল বার্সা–সমর্থকদের। ছবি: এএফপি
মেসির গোলে খানিকটা আশা জুগিয়েছিল বার্সা–সমর্থকদের। ছবি: এএফপি

আক্রমণে গতি বাড়াতেই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ভিদাল আর ম্যালকমকে মাঠে নামান ভালভার্দে। দ্বিতীয়ার্ধে মেসি বেশ কটি শট নিলেও জালের দেখা পায় মাত্র একটি। সেটা ৭৩তম মিনিটে। তাও সেটা যে মেসিময় গোল, তা বললে নিশ্চিত ভুল হবে। তখন কর্নার থেকে পাওয়া বলে মাথা ছোঁয়ান লংলে। সেটা প্রথম দফায় আটকে দেন ভ্যালেন্সিয়ার গোলরক্ষক। পুরোপুরি ক্লিয়ার না হওয়ায় ডি-বক্সে ফাঁকায় থাকা মেসি সহজেই বল জালে জড়ান। মেসির গোলে কিছুটা আশার আলো দেখলেও শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের তেতো স্বাদ আর একবুক হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা–সমর্থকেরা।