বার্সেলোনাকে হারাতে ফাইনালই পছন্দ হলো তাঁর

প্রথমবারের মতো বার্সেলোনাকে হারিয়ে শীর্ষ স্তরে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন মার্সেলিনো। ছবি: এএফপি
প্রথমবারের মতো বার্সেলোনাকে হারিয়ে শীর্ষ স্তরে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন মার্সেলিনো। ছবি: এএফপি

সবুরে মেওয়া ফলে। বাংলার আপ্তবাক্যটি জানার কথা নয় স্প্যানিশ মার্সেলিনো গার্সিয়ার। তবে অনেক ধৈর্যের পর ভ্যালেন্সিয়ার এই কোচের এখন ‘মেওয়া’ উপভোগের সময়। বার্সেলোনাকে হারিয়ে কোপা দেল রের শিরোপা জিতেছে তার দল। আর এ ম্যাচটিই ছিল বার্সেলোনার বিপক্ষে কোচ হিসেবে মার্সেলিনোর প্রথম জয়।

একবার না পারলে দেখ শতবার। মার্সেলিনোকে শতবার দেখতে হলো না। ২১তম বারে এসেই মেসির বার্সেলোনা জয় করতে পেরেছেন ৫৫ বছর বয়সী এই কোচ। ৬ ক্লাবের হয়ে এর আগে বার্সেলোনার বিপক্ষে ২০ ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন মার্সেলিনো। জয়ের মুখ দেখা হচ্ছিল না। ৬ ড্রয়ের সঙ্গে ১৪ ম্যাচেই হার। অবশেষে কাতালান ক্লাবের বিপক্ষে জয়ের মুখ দেখলেন মার্সেলিনো। তাও আবার একেবারে কোপা দেল রের ফাইনালে এসে। আর ফাইনাল জেতা মানেই তো শিরোপা ঘরে নিয়ে আসা। এটি মার্সেলিনোর কোচিং ক্যারিয়ারের শীর্ষ স্তরের প্রথম ট্রফি।

এ দিনটাকে জীবনের সবচেয়ে সুখের সময় বলে ঘোষণা দিয়েছেন ভ্যালেন্সিয়া কোচ, ‘আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সুখের দিন। এটা আমার প্রথম জয়। ফাইনালটাও ছিল আমার জন্য প্রথম। জয়টাও প্রথম।’ এমন একটি মুহূর্ত উপহার দেওয়ার জন্য খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্সেলিনো, ‘খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, সমর্থক, আমার পরিবার সর্বোপরি সবাইকে ধন্যবাদ। যাদের জন্য জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি পেয়েছি।’

কোপা দেল রের শিরোপাটি নিজেদেরই করে নিয়েছিল বার্সেলোনা! সর্বোচ্চ ৩০ বারের চ্যাম্পিয়ন তো বটেই, গেল চার মৌসুমে টানা শিরোপাজয়ী স্প্যানিশ জায়ান্টরা। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়ের পর ‘ডাবল’ জয়ের জন্য কোপা দেল রের শিরোপার দিকে তাকিয়ে ছিল মেসিরা। কিন্তু সব আশা তো পূরণ হওয়ার নয়।

মেসিদের সামনে থেকে ছো মেরে ১১ বছর পর শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভ্যালেন্সিয়া। এটি তাদের অষ্টম শিরোপা। আর মার্সেলিনোর জন্য প্রথম। এমন উৎসবের দিনের জন্য খেলোয়াড়দের বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্সেলিনো, ‘খেলোয়াড়েরা আমাকে ট্রফিটি জয়ের সুযোগ করে দিয়েছে। ভালোবাসা এবং মাহাত্ম্য পারস্পরিক হয়।’