রাঙিয়ে দিয়ে যাও

ছায়ানটের বসন্তের অনুষ্ঠানে পরিবেশন করছে শিক্ষার্থীরা  l ছবি: প্রথম আলো
ছায়ানটের বসন্তের অনুষ্ঠানে পরিবেশন করছে শিক্ষার্থীরা l ছবি: প্রথম আলো

ছায়ানটের বসন্তের আয়োজন মানেই বৈচিত্র্যময় এক সাংস্কৃতিক আবহে অবগাহন। সেখানে রবীন্দ্রনাথ তো থাকবেনই, থাকবেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, কাজী নজরুল ইসলাম, অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্ত সেন। গানে গানে বসন্তরাজের প্রতিটি রূপই সেখানে প্রস্ফুটিত হয়। ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল’—রবীন্দ্রনাথের এই সম্মেলক গানের পরই যখন বসন্তরাগে দলীয় শুদ্ধসংগীত পরিবেশিত হয়, তখনই বোঝা যায়, আজ গানে গানে রাঙিয়ে নেওয়া যাবে মন। তাই এর পরপরই কাজী নজরুল ইসলামের ‘বসন্ত এল এল এল রে’ সম্মেলক গানের কাছে পৌঁছাতেই দর্শক-শ্রোতাদের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির মিলন ঘটতে থাকে। আর দেখা যায় ঠিক এই পর্যায়েই নজরুলের ‘আজ দোল ফাগুনের দোল লেগেছে’ গানের সঙ্গে সম্মেলক নৃত্য পরিবেশিত হতে।
ছিল একক আর দ্বৈত গান। মহাশ্বেতা চৌধুরী, ইসরাত জাহানের গানের পর ছিল এম সাদাত রহমান ও সাবরিনা ইকবালের কণ্ঠে ‘আমরা মলয় বাতাসে’ দ্বৈত গান, যার রচয়িতা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। আবার তিনটি একক গানের পর অতুলপ্রসাদ সেনের ‘মোরা নাচি ফুলে ফুলে’ সম্মেলক নৃত্য। একক, দ্বৈত গানের পর আবার সম্মেলক নৃত্য, এবার রবীন্দ্রনাথের ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়’ গানের সঙ্গে। নালন্দার শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বসন্ত’ শ্রুতি নাটক পরিবেশন করে মন কেড়ে নেয় উপস্থিত সুধীজনদের। ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’—রবীন্দ্রনাথের গানে সম্মেলক নৃত্যের পর ছায়ানটের রীতি অনুযায়ী বসন্তের আয়োজন শেষ হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে।