ম্যাচ পাতানো বিতর্কে টালমাটাল স্প্যানিশ লিগ

জিদান-বেকহামদের এককালের সতীর্থ সাবেক রিয়াল খেলোয়াড় রাউল ব্রাভো আছেন সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে। ছবি: টুইটার
জিদান-বেকহামদের এককালের সতীর্থ সাবেক রিয়াল খেলোয়াড় রাউল ব্রাভো আছেন সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে। ছবি: টুইটার
ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারিতে নয়জন বর্তমান ও সাবেক স্প্যানিশ ফুটবলারকে গ্রেপ্তার করেছে স্প্যানিশ পুলিশ।

রিয়াল মাদ্রিদের সেই বিখ্যাত ‘গ্যালাক্টিকোস’ অধ্যায়ের কথা মনে আছে? যখন ডেভিড বেকহাম, জিনেদিন জিদান, লুইস ফিগো, রাউল, রোনালদো, রবার্তো কার্লোসরা একসঙ্গে খেলতেন। তখন রিয়াল স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রাউল ব্রাভো। মূল একাদশে না খেলতে পারলেও বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবে বেশ নাম কামিয়েছিলেন এ তারকা। ছয় বছর রিয়ালে কাটিয়ে অলিম্পিয়াকোস, রায়ো ভায়োকানোর মতো দলেও খেলেছেন। সেই রাউল ব্রাভোই এখন শুরু করেছেন ম্যাচ পাতানো!

পরশু স্পেনে ম্যাচ পাতানোর দায়ে নয়জন বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড়কে গ্রেপ্তার করেছে স্প্যানিশ পুলিশ। এঁদের মূল হোতা হিসেবে উঠে এসেছে রাউল ব্রাভোর নাম। ব্রাভো ছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় আছেন সদ্য সাবেক হওয়া খেলোয়াড় বোর্হা ফার্নান্দেজ, স্প্যানিশ ক্লাব হুয়েস্কার সভাপতি অগাস্টিন লাসোসা, সামু সায়েজ, ইনিগো লোপেজ, কার্লোস আরান্দা প্রমুখ।

বোর্হা ফার্নান্দেজ কিছুদিন আগেও রিয়াল ভায়োদোলিদের হয়ে খেলতেন, এই মৌসুমের শেষেই অবসর নিয়েছেন। গ্যালাক্টিকোস আমলে বোর্হাও খেলতেন রিয়াল মাদ্রিদে। স্যামুয়েল সায়েজ খেলতেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, রিয়াল মাদ্রিদ, গেটাফের মতো ক্লাবে। গ্রেপ্তার হওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে কার্লোস আরান্দাই বেশি পরিচিত। নিয়মিত খেলেছেন লেভান্তে, জারাগোজা, গ্রানাডা, লাস পালমাস, সেভিয়া, ভিয়ারিয়ালের মতো ক্লাবে।

লা লিগার বেশ কিছু খেলার ফলাফল আতশি কাচের নিচে পর্যবেক্ষণ করছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এই মৌসুমের একদম শেষ রাউন্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছে ভ্যালেন্সিয়া। চ্যাম্পিয়নস লিগে সুযোগ পাওয়ার জন্য ভালাদোলিদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা জিততেই হতো ভ্যালেন্সিয়াকে। সে ম্যাচে ২-০ গোলে জেতে ভ্যালেন্সিয়া। তবে সে ম্যাচে ভালাদোলিদের ডিফেন্ডারদের পারফরম্যান্স সন্দেহের উদ্রেক ঘটায় অনেকের মনে। সে ম্যাচে আবার খেলেছিলেন বোর্হা ফার্নান্দেজ। ফলে, সব মিলিয়ে তাই তাঁর দিকেই সন্দেহের নজর। এ ছাড়া হুয়েস্কা-ভ্যালেন্সিয়া ও হুয়েস্কা-রিয়াল বেতিস ম্যাচগুলো নিয়েও তদন্ত চলছে।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে ছয় মাস থেকে চার বছর মেয়াদের জেল হতে পারে অভিযুক্তদের। সঙ্গে সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন ইউরোর আর্থিক জরিমানা তো রয়েছেই।