এখানে এসেছি জেতার জন্য, বলছেন লিটন

লিটন দাস বেশ ভালো ফর্মে আছেন, সুযোগ পেলেই একাদশে জায়গা পাওয়ার দাবি জোরালো করছেন। ছবি: এএফপি
লিটন দাস বেশ ভালো ফর্মে আছেন, সুযোগ পেলেই একাদশে জায়গা পাওয়ার দাবি জোরালো করছেন। ছবি: এএফপি
>মাশরাফিরা লন্ডনে এসে আজ কোনো অনুশীলন করেননি, ছিলেন বিশ্রামে। নিজেদের মতো করে কাটছে দিনটা। লিটন দাস অবশ্য বলছেন, পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই লন্ডনে পা রাখলেন তাঁরা

কার্ডিফ থেকে ফেরার পর বাংলাদেশ দল এক দিনের বিশ্রামে। আজ কোনো অনুশীলন নেই। অনুশীলন নেই বলে খেলোয়াড়েরা যে যাঁর মতো কাটালেন দিনটা। কেউ বের হলেন হোটেল থেকে। যাঁরা বের হননি, রুম থেকেই উপভোগ করতে পারেন টেমস নদীর সৌন্দর্য। টিম হোটেলটা যে একেবারেই নদীর পাড়ে।

বাংলাদেশের টিম হোটেল থেকে ওভালের দূরত্বও বেশি নয়। এটা প্রতীকীও ভাবতে পারেন। কার্ডিফ থেকে যেভাবে লন্ডনে, একইভাবে বিশ্বকাপের অনেক কাছে চলে এসেছে বাংলাদেশ। ওভাল থেকে মাইলখানেক দূরে থাকা মাশরাফিরা টুর্নামেন্টের উত্তাপ পেতে শুরু করেছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে আজ শুরু হয়ে গেছে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। দুপুরে ওভাল লন্ডনের পূর্ণ গ্যালারি দেখে মনে হলো ইংলিশদের মধ্যেও বিশ্বকাপ নিয়ে যথেষ্ট উন্মাদনা আছে। তবে তারা সেটি প্রকাশে পরিমিত। এ মাঠেই রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হবে বাংলাদেশের। শুরুটা কি দারুণ কিছু দিয়ে সম্ভব? দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা লিটন দাসের উত্তরটা হলে ভীষণ রক্ষণাত্মক, ‘জেতা সহজ হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকা বোলিং-ব্যাটিং খুব ভালো। তারা এমন কন্ডিশনে খেলেও অভ্যস্ত। এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে এমন না যে পারব না। ভালো খেললে অবশ্যই জিতব।’

এক সাংবাদিক আরও নির্দিষ্ট করে জানতে চাইলেন, প্রথম ম্যাচটা কি বাংলাদেশ জয় দিয়ে শুরু করতে পারবে? লিটন এবার সরাসরিই বললেন, ‘প্রথম ম্যাচ বলেই নয়, এটা আমাদের শেষ ম্যাচ হলেও জেতার কথাই চিন্তা করতাম। এখানে এসেছি জেতার জন্য। জয়-পরাজয় কী হবে তা তো আগে বলা যায় না। তবে নামার সময় মাথায় থাকে জয়। এ মনোভাব নিয়েই নামব।’

টুর্নামেন্টের দোরগোড়ায় যে প্রশ্নটা অবধারিত, কেমন হলো ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রস্তুতি? ব্যাটিং-বোলিংয়ের প্রস্তুতি শতভাগ হয়েছে বলেই দাবি লিটনের। তবে ফিল্ডিংয়ে আরেকটু উন্নতি হতে পারে বলে মনে করেন, ‘আমরা সব দিক দিয়ে মোটামুটি ভারসাম্যপূর্ণ দল। ফিল্ডিংটা যদি আরেকটু গুছিয়ে উঠতে পারি, তাহলে ভালো হবে। ব্যাটিংয়ে এখানে রান উঠবে, রান আটকানো কঠিন। বোলাররা মার খাবে। যদি ফিল্ডিংয়ে কিছু রান বাঁচাতে পারি সেটা আমার জন্য বাড়তি পাওয়া হবে।’

পরীক্ষা খুব কাছে চলে এলে নতুন করে কিছু পড়ার নেই। আগের পড়া ‘রিভিশন’ দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। লিটনও সেটিই বলছেন, ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। প্রস্তুতির ব্যাখ্যা কখনো দিতে পারব না। সব সময়ই যেভাবে অনুশীলন করি সেভাবেই করছি। সেভাবেই আমরা তৈরি হচ্ছি।’