সরফরাজের ভুঁড়িতে আপত্তি শোয়েবের!

শোয়েব আখতারের দেখা সবচেয়ে আনফিট অধিনায়ক সরফরাজ! ছবি: রয়টার্স
শোয়েব আখতারের দেখা সবচেয়ে আনফিট অধিনায়ক সরফরাজ! ছবি: রয়টার্স
>সরফরাজের জন্য এখন বড্ড কঠিন সময়, উইন্ডিজদের বিপক্ষে লজ্জাজনক হারের পর পুরো ক্রিকেট বিশ্বেই চলছে পাকিস্তানের সমালোচনা। সরফরাজকেও সমালোচনা করছেন কেউ কেউ। সমালোচনা করতে ভোলেননি পাকিস্তান সাবেক পেসার শোয়েব আখতারও। তবে তাঁর সমালোচনার প্রেক্ষিত ভিন্ন, তাঁর দেখা সবচেয়ে আনফিট অধিনায়ক নাকি সরফরাজ!

বিশ্বকাপের শুরুটা সরফরাজ আহমেদের মুখে তেতো স্বাদ এনে দিয়েছে। গতকাল ক্রিকেট বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হয়েছে পাকিস্তানের। কিন্তু শুরুটা একদমই আশানুরূপ হয়নি। প্রথম ম্যাচে উইন্ডিজদের বিপক্ষে মাত্র ১০৫ রানেই অলআউট পাকিস্তান। বিশ্বকাপ ইতিহাসেই পাকিস্তানের এটা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।

২০১৯ বিশ্বকাপে এসেছেনই টানা দশ ম্যাচে হারের স্বাদ নিয়ে। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কাছে টানা হারের তিক্ত অভিজ্ঞতার পর পাকিস্তানের জ্বলুনি বাড়িয়েছে প্রস্তুতি ম্যাচ। আফগানিস্তানের কাছে হারের স্বাদটা যোগ হয়েছে পাকিস্তানের অধিনায়কের ঝুলিতে।

পাকিস্তান দলকে তো বটেই, অধিনায়ক সরফরাজকেও তাই কিছু সমালোচনা গিলতে হচ্ছে। উইন্ডিজদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পর পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতারও সুচ ফুটিয়েছেন সরফরাজের গায়ে। সরফরাজই নাকি শোয়েব আখতারের দেখা সবচেয়ে 'আনফিট' অধিনায়ক।

উইন্ডিজদের বিপক্ষে বাজে পারফরম্যান্সের দায় মেনে নিয়েছেন সরফরাজ।
উইন্ডিজদের বিপক্ষে বাজে পারফরম্যান্সের দায় মেনে নিয়েছেন সরফরাজ।

ট্রেন্ট ব্রিজে ব্যাটিং বোলিং কোনো বিভাগেই পাকিস্তানকে শক্তিশালী মনে হয়নি। পাকিস্তানের এমন অসহায় আত্মসমর্পণে পুরো দোষই সরফরাজের ঘাড়ে চাপালেন পাকিস্তানি গতিতারকা শোয়েব আখতার। সরফরাজের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা ভিডিও দেন তিনি। ভিডিওতে বলেন, ‘সরফরাজ আহমেদ যখন টস করতে এসেছিল, ওর পেটটা যেন বের হয়ে যাচ্ছিল। ওর মুখও বেশ মোটা দেখাচ্ছিল। আমি ওর মতো আনফিট অধিনায়ক কখনো দেখিনি। সে মাঠে নড়াচড়ার জন্য সক্ষম না। যখন উইকেটকিপিং করছিল যথেষ্ট কষ্ট করতে হয়েছিল ওকে।’

উইন্ডিজদের বিরুদ্ধে এমন বাজে পারফরম্যান্সের সকল দায় অবশ্য আগেই মেনে নিয়েছেন সরফরাজ। পরের ম্যাচে ভুল শুধরানোর চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেন পাকিস্তানের এই অধিনায়ক। কিন্তু প্রশ্ন হলো আদৌ পারবে তো পাকিস্তান? পরের ম্যাচে যে প্রতিপক্ষ ফেবারিট ইংল্যান্ড! কদিন আগেই যাদের কাছে ধবলধোলাই হয়েছিল ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ীরা।