'বড় ভাই'-এর সঙ্গে জুটির রহস্য জানালেন সাকিব

সাকিব-মুশফিক জুটিতে অনেকবার হেসেছে বাংলাদেশ। ছবি: এএফপি
সাকিব-মুশফিক জুটিতে অনেকবার হেসেছে বাংলাদেশ। ছবি: এএফপি
>

গতকাল ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম জুটি বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৪২ রানের জুটি গড়েছেন। এর আগেও বড় বড় জুটি গড়েছেন তাঁরা। নিজেদের মধ্যে জুটি জমার রহস্য জানিয়েছেন সাকিব।

পঞ্চপাণ্ডবের মহাগুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের অন্যতম দুই স্তম্ভ। বাংলাদেশের যেকোনো বড় জয়ে থাকে অবদান। তাঁদের ব্যাট হাসলে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে থাকে রানের ফোয়ারা। গতকাল বিশ্বকাপে দুজনের শুরুটাও হয়েছে দারুণ। ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৪২ রানের জুটি গড়েছেন। আর শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ।

গতকাল ৩৩০ রানের বড় পুঁজির কৃতিত্ব সাকিব-মুশফিক জুটির। ৭৫ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছেন। ইমরান তাহিরের বলে বোল্ড হওয়ার আগে সাকিব করেছেন ৭৫ রান। খানিক পরে ৭৮ রান করা মুশফিক ক্যাচ তুলে দিলেন আন্দিলে ফিকোয়াওর শর্ট বল চালাতে গিয়ে। দুজনের একজনও সেঞ্চুরি না পাওয়ার আফসোস থাকতে পারে ক্রিকেটপ্রেমীদের। কিন্তু বাংলাদেশের জয়ের ভিত্তিটা গড়ে উঠেছে তাঁদের ব্যাটেই।

মুশফিক ও সাকিবের একসঙ্গে পথচলা দীর্ঘ দিনের। সেই শৈশবে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) শুরু। সেখানে পড়াশোনার সুবাদে মুশফিক হলেন সাকিবের বড় ভাই, এক ব্যাচ সিনিয়র। বয়সভিত্তিক দলে বেশির ভাগ সময়ে ব্যাটিং পজিশনেও পিঠাপিঠি। সেই সুবাদে দুই দুজনকে খুব ভালো করেই চেনাজানা। ফলে উইকেটে গেলেই ব্যাট হাতে জমে ওঠেন। যেন নিজেরাই ঠিক করে নেন, ‘দুই ভাই মিলে বড় জুটি গড়তে হবে।’

২০০৭ বিশ্বকাপে পোর্ট অব স্পেনে ভারতকে বিদায় করে দেওয়ার সেই ম্যাচে সাকিব আর মুশফিক দুজনই ফিফটি পেয়েছিলেন। দুজন গড়েছিলেন ৮৪ রানের জুটি। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তীব্র চাপে ১১৪ রানে অসাধারণ এক জুটি গড়েছিলেন এ দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। গতকাল ওভালে সাকিব-মুশফিকের জুটি সেই দিনগুলো মনে করিয়ে দিল। এ ছাড়া তাকিয়ে দেখতে পারেন পরিসংখ্যানের দিকে। দুজনের জুটিতে গতকাল পর্যন্ত রান উঠেছে ২ হাজার ৭৮৮।

গতকাল ম্যাচ শেষে সাকিব বলেছেন, ‘বিকেএসপিতে পড়ার চেয়ে বড় কথা অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে খেলছি মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে। ব্যাটিং অর্ডারে অনেক সময় দুজন দুজনের আগে-পরে নেমেছি। ওনার সঙ্গে তাই অনেক ব্যাটিং করা হয়েছে। জাতীয় দলে আসার পরও তা-ই হয়েছে, এ কারণে সুযোগগুলো সৃষ্টি হয়েছে। ওনার সঙ্গে অনেক বড় বড় জুটি হয়েছে। বাকি ৮ ম্যাচে যদি ৪-৫টা এমন বড় জুটি গড়তে পারি, অনেক ভালো হবে।’