বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হতে চান সাকিব!

ব্যাট ও বল হাতে অবদান রেখেছেন, ফিল্ডিংয়েও নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। ছবি: রয়টার্স
ব্যাট ও বল হাতে অবদান রেখেছেন, ফিল্ডিংয়েও নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। ছবি: রয়টার্স

৭৫ রান, ১ উইকেট, একটি দুর্দান্ত ক্যাচ। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাওয়া বাংলাদেশের জয়ে সাকিব আল হাসানের অবদান নেই কীসে! এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে পেলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও।

ভাবুন একবার, পুরো বিশ্বকাপেই যদি এমন অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে যেতে থাকেন সাকিব! সাকিবের তুলনায় প্রত্যাশাটা কমই হয়ে গেল হয়তো। ব্যাট-বল হাতে এর চেয়েও অনেক বেশি করার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশ সহ-অধিনায়কের। বাকি ম্যাচগুলোতে সেভাবেই খেলে সাকিব আল হাসান হতে চান বিশ্বকাপের ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট।

না, সাকিব নিজ মুখে কথাটা বলেননি। তবে খেলা এবং অনুশীলনের প্রতি তাঁর নিবেদন আর খেলাটার প্রতি একাগ্রতা দেখে তাই মনে হচ্ছে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদের। আজ সকালে টিম হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে মাহমুদ বলছিলেন, ‘সাকিব সব সময়ই বড় ক্রিকেটার। তবে গত কয়েক মাসে দলের সঙ্গে ওর সম্পৃক্ততা দেখে আমার খুবই ভালো লাগছে। অনেক পরিশ্রম করছে ও। আগে যে কাজগুলো করত না, এখন সেগুলোও করছে। ফিটনেসের জন্য তো অনেক কষ্ট করেছে। অনুশীলনে অনেক সময় নিয়ে বোলিং, ব্যাটিং করছে। অনুশীলনে আগে কখনো ওকে এত সিরিয়াস দেখিনি।’

সাকিবকে এত সিরিয়াস দেখে মাহমুদের ধারণা, ইংল্যান্ড বিশ্বকাপটা বড় কোনো লক্ষ্য নিয়েই খেলছেন তিনি, ‘সাকিব তো আর নিজ থেকে কিছু বলে না। তবে আমার মনে হয় ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ও ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হতে চায়। গত কয়েক মাস ধরে সাকিব সেভাবেই নিজেকে তৈরি করেছে।’

দলের প্রতি সাকিবের নিবেদনের কথাও আলাদা করে বললেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাহমুদ, ‘পরশু দিনের একটা ঘটনা। অনুশীলনের সময় ও (সাকিব) বসে ছিল। একপর্যায়ে দেখলাম অন্যদের জন্য পানি নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে। সিনিয়র একজন সিনিয়র খেলোয়াড় হয়েও সে এটা করেছে।’

প্রসঙ্গক্রমে এল অন্যদের কথাও। বাংলাদেশ দলের তিন ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ রোজা রেখেই খেলেছেন কালকের ম্যাচটা। মাহমুদ বলছিলেন, ‘আসলে কারও মধ্যেই চেষ্টা কমতি দেখছি না। মুশফিক, রিয়াদ, মিরাজ রোজা রেখে যেরকম অনুশীলন করেছে বা খেলেছে, এক কথায় অসাধারণ। কারও মধ্যে এক ফোঁটা চেষ্টা কম দেখছি না। আমাদের ভালো খেলাটা তাই ফ্লুক নয়। ওরা পরিশ্রমের ফসল পাচ্ছে।’