মুশফিকের ভুল খেলারই অংশ

মুশফিকুর রহিমের ভুলে বেঁচে গিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। এ ধরনের ভুল খেলারই অংশ বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা আবদুর রাজ্জাক। ছবি: এএফপি
মুশফিকুর রহিমের ভুলে বেঁচে গিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। এ ধরনের ভুল খেলারই অংশ বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা আবদুর রাজ্জাক। ছবি: এএফপি

কালকের ম্যাচটি হেরে যাওয়ার পরও বলব, ভালো ক্রিকেট খেলেই আপাতত লন্ডন-পর্ব শেষ করল বাংলাদেশ। কাল বারবার মনে হয়েছে, আরও কিছু রান হলে ভালো হতো। সেটা না হলেও বোলাররা কিন্তু ২৪৪ রানের পুঁজি নিয়েই ভালো লড়েছে।

এত বড় টুর্নামেন্ট, ভুলভ্রান্তি থাকবে। একটি ম্যাচে হেরেছে বলে এখনই সমালোচনায় মেতে ওঠার কারণ দেখি না। সমালোচনা করার মতো বাংলাদেশ কিছু করেওনি। কাল অবশ্য মুশফিকুর রহিম যেভাবে রানআউট করার সুযোগ হাতছাড়া করেছে বা নিজে রানআউট হয়েছে, সেসব নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। তবে কোনোভাবেই বলা যাবে না, ওর ভুলে বাংলাদেশ ভুগেছে। ক্রিকেটে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। সেসব খেলারই অংশ। অস্বাভাবিক কিছু নয়। একটা ম্যাচে এমন কিছু ঘটতেই পারে। ম্যাচে একটা ক্যাচ হাতছাড়া হতে পারে না? এটাও ধরে নিন তেমন কিছু। আমি মনে করি না মুশফিককে দোষ দেওয়ার মতো কিছু হয়েছে।

গত দুটি ম্যাচে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ বেশ মুগ্ধ করেছে। আগেই বলেছিলাম, টুর্নামেন্টটি যে সময়ে হচ্ছে ,স্পিনাররা কিছু সহায়তা পেতে পারে। এখন উইকেট বেশ শুষ্ক। যেহেতু উইকেট তৈরি করছে আইসিসি, দুই দলের সমান সুবিধা থাকবে এতে। সাকিব-মিরাজ-মোসাদ্দেক ভালো বোলিং করছে। সামনে মাহমুদউল্লাহকেও যদি পাওয়া যায়, আরও ভালো হবে।

২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ইনিংস লম্বা করা জরুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে যে ভুলগুলো হয়েছে, পরে সেটা সামলে নেওয়া গেছে। কাল যেটি হয়নি। লম্বা জুটি হয়নি। শেষ দিকে কেউ মেরে খেলতে পারেনি। বেশির ভাগ ব্যাটসম্যান সেট হয়ে আউট হয়ে গেছে। আশা করি, সামনে তারা এ ঘাটতি কাটিয়ে উঠবে।

ভুলভ্রান্তি যতটুকুই হয়েছে, সব ছাপিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছে, এর প্রশংসা করতেই হবে। হার-জিত থাকবে। এখানে ইতিবাচক দিক, বাংলাদেশ পুরো টুর্নামেন্টে ভালো করতে চায়, সেটি তারা মাঠে নানাভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতেছে। কালও কিন্তু বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত লড়েছে। ইনিংস বিরতিতে অনেকে ভেবেছে বাংলাদেশ হয়তো ৫-৬ উইকেটে হারবে। কিন্তু সেটি হয়নি। একটু এদিক-ওদিক হলে তো ম্যাচের গল্পটা অন্য রকম হতে পারত।

ওভাল-পর্ব শেষে আমাদের ডাকছে কার্ডিফ। সেখানে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। খুবই শক্তিশালী এক প্রতিপক্ষ। তারা খেলছে আবার নিজেদের হোম কন্ডিশনে। কন্ডিশন ওদের মুখস্থ, এই টুর্নামেন্টে ভীষণ ফেবারিট। বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা এগিয়ে থেকেই খেলতে নামবে। তবে বাংলাদেশ যেভাবে টুর্নামেন্টের শুরুতে খেলছে, এটা ধরে রাখতে পারলে ভালো কিছুই হবে। আগেই জয়-পরাজয়ের কথা বলতে চাই না। এতটুকুই বলি বাংলাদেশের বিপক্ষে যদি জিততে হয়, ইংল্যান্ডকে কষ্ট করেই জিততে হবে। সহজে কিছুই হবে না।