ধন্যবাদ সাকিব

ব্যাটে–বলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব আল হাসান। ছবি: রয়টার্স
ব্যাটে–বলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব আল হাসান। ছবি: রয়টার্স

সাকিব আল হাসান গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও বিশ্বের শীর্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে তাঁর ক্রিকেট-নৈপুণ্যের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রেখেছেন।

এবারের ২০১৯ বিশ্বকাপের প্রথম খেলায় শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যেমনটি খেলেছিলেন, দ্বিতীয় ম্যাচটিতেও তার পুনরাবৃত্তি প্রত্যক্ষ করল ক্রিকেট বিশ্ব।

এবার তাঁর ব্যাট থেকে এল ফিফটি প্লাস রান, আর তার ম্যাজিক ঘূর্ণি থেকে এল নিউজিল্যান্ডের দুই ইনফর্ম ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কলিন মানরোর উইকেট দুটি।

তিনটি করে চার ও একটি করে ছক্কা মেরে নিউজিল্যান্ডের এই দুই ওপেনার যে সূচনা করেছিলেন, সাকিব তাদের থামিয়ে না দিলে এই ম্যাচটি মনে হয় ৪০ ওভারের বেশিতে গড়াতো না, এটা বলা যায়।

মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাইফউদ্দিন দ্রুত দুই দুই করে চার উইকেট ফেলে দেওয়ার পর নিউজিল্যান্ড যে চাপের মধ্যে পড়েছিল, সেই চাপের উৎসমুখে ছিল সাকিবের শুরুর ওই দুই উইকেট।

আবারও বলি, ধন্যবাদ সাকিব। বাংলাদেশ যে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সমানতালে লড়ে হারল, এই সম্মানজনক লড়াইয়ের ভিতটা সাকিবের ব্যাটে গড়া, হাতে গড়া।

ওপেনার হিসেবে সৌম্য সরকার দুটো ম্যাচেই ভালো সূচনা করেছেন, তামিম যা পারেননি। তবে সৌম্য তার সূচনা খেলার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেননি। তিনি প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৪২ আর দ্বিতীয় ম্যাচে করলেন প্রায় অর্ধেক, মাত্র ২৫।

একবার যশোর এয়ারপোর্টে আমি সৌম্যকে হাতের কাছে পেয়েছিলাম। ওকে ডেকে আমার পাশে বসিয়ে আমি সৌম্যকে বলেছিলাম, কিপ ইওর হেড কুল। তোমার হাতে মার আছে, কিন্তু তোমার ধৈর্য কম।

তাই তুমি তোমার ইনিংসটাকে বড় করতে পারছ না। তুমি দলের জন্য নয়, এবার নিজের জন্য খেলো, তাতেই দল উপকৃত হবে।
তোমার স্ট্রাইক রেট বেশ ভালো, কিন্তু কোথায় সেঞ্চুরি? কোথায় তোমার ফিফটি? ক্রিকেট কি শুধুই চার–ছয়ের খেলা?
সৌম্য কি ভুলে গেল আমার কথা?

এমপি মাশরাফি (বিশ্বক্রিকেটে এমন আর একজনও নেই) নিজে লিডিং ফ্রম দি ফ্রন্ট হতে না পারলেও, তার বোলার পরিবর্তন এখনো বেশ কার্যকর হচ্ছে। বাট হি হ্যাজ টু পারফর্ম হিমসেলফ

মুশফিককে সরিয়ে ইনফর্ম লিটন দাসকে উইকেট কিপিংয়ের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আমি লিখেছিলাম। আমার কথা টিম ম্যানেজমেন্ট কানে নেয়নি। তার খেসারত তো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা ভালোই দিয়েছি। দিইনি?

একজন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান, বিশ্বকাপের ওয়ার্মআপ ম্যাচে যিনি সর্বোচ্চ রান করলেন ( সম্ভবত ৭৩), সেই লিটনকে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে কিছুক্ষণ ফিল্ডিং দেওয়ার জন্য মাঠে নামানোর মতো হাস্যকর সিদ্ধান্ত, কে জানে হয়তো আমাদের আরও দেখতে হবে।

অলমিতি বিস্তারেন।
আর বিস্তৃত করে বলার দরকার আছে কি?