সিলেবাসে ওয়ার্নার-ফিঞ্চ, পরীক্ষায় কোল্টার-নাইল!

কোল্টার-নাইলের ঝড়েই বাঁচল অস্ট্রেলিয়া। ছবি: এএফপি
কোল্টার-নাইলের ঝড়েই বাঁচল অস্ট্রেলিয়া। ছবি: এএফপি

অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নারের মতো দুই দুর্দান্ত ওপেনার দলে। একজন ২০১৯ বিশ্বকাপে এসেছেন দুর্দান্ত ফর্ম নিয়ে, আরেকজন বিশ্বকাপ শুরু করেছেন অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস দিয়ে। গত এক বছরে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন উসমান খাজা। এদের নিয়ে কী করতে হবে সেটা নিয়েই ভেবেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর উইন্ডিজ বোলারদের নাচালেন নাথান কোল্টার-নাইল!

ইনিংসের প্রথমার্ধে ধ্বংসস্তূপে রূপ নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসকে নতুন জীবন দিয়েছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি ও স্টিভেন স্মিথ। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামার আগে অস্ট্রেলিয়া দল যে একটু হলেও জয়ের আশা দেখছে সেটা কোল্টার-নাইলের সুবাদেই। এই বোলিং অলরাউন্ডারের ঝোড়ো ৯২ রানেই অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে ২৮৮ রানের সংগ্রহ।

৪৯তম ওভারে ইনিংসের পঞ্চম ছক্কাটি মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়লেন কোল্টার-নাইল। মাঠ যখন ছাড়ছেন, তখন করতালিতে কান পাতা দায়। ২৮ ওয়ানডেতে যে ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ স্কোর ৩৪, লিস্ট এতেই যিনি কখনো ৬২ রানের বেশি করেননি সেই কোল্টার-নাইল আজ ৯২ রান করে মাঠ ছেড়েছেন। সেটাও কোন পরিস্থিতিতে?

৩৮ রানে ৪ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে ৭৯ রানে। ক্যারি ও স্মিথ মিলে ইনিংস মেরামত করছিলেন। ৭ চারে ৪৫ রান করা ক্যারিই মূল ভূমিকা রাখছিলেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে স্মিথ ছিলেন দর্শকের ভূমিকায়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়াকে আবারও হতাশ করে দলকে ১৪৭ রানে ফিরেছেন ক্যারি। ইনিংসের তখনো ১১৬ বল বল বাকি। ৪ উইকেট হাতে অস্ট্রেলিয়া আর কতক্ষণ টিকবে সেটা নিয়েই ছিল মূল কৌতূহল।

অস্ট্রেলিয়া আরও ১১০ বল টিকেছে। এর মাঝে ৬০ বল খেলেছেন কোল্টার-নাইল। তাতেই ৮ চার ও ৪ ছক্কায় তুলে নিয়েছেন ৯২ রান। ব্যাটিং দক্ষতায় বহুগুণ এগিয়ে থাকা স্মিথকে (১০৩ বলে ৭৩) একপাশে রেখে পাল্টা আক্রমণে গেলেন এই অলরাউন্ডার। ১০২ রানের জুটিতে স্মিথের অবদান ছিল ৩০। আর ৪১ বলে ফিফটি ছোঁয়া কোল্টার-নাইলের অবদান ছিল ৬৫। ৪৫তম ওভারে স্মিথ ফেরার পরো অস্ট্রেলিয়া দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন নাইল। দলের বাকি ৩৯ রানের ২৭ রানই এনে দিয়েছেন কোল্টার নাইল।

এর আগে তৃতীয় ওভারেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ফিঞ্চ (৬) ফিরেছেন হোপের কাছে ক্যাচ দিয়ে। পরের ওভারে ওয়ার্নারও (৩) ফিঞ্চের পথ ধরলেন। ব্যাক ওয়ার্ড পয়েন্টে হেটমায়ারকে ক্যাচ অনুশীলন করিয়ে আসলেন। প্রথম বদলি বোলার হিসেবে রাসেল এলেন সপ্তম ওভারে। ওভারের শেষ বলে রাসেলের মুখেও একরাশ হাসি। তাঁর অনেক বাইরের এক বল স্লাইস করেছিলেন খাজা (১৩), সেটা উড়ে যাচ্ছিল স্লিপের দিকে। কিন্তু হোপ ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটা নিজের দখলে নিয়ে এলেন।

৩৬ রানে ৩ উইকেট পড়া এক দলের ব্যাটসম্যান হিসেবে যা করা উচিত নয় সেটাই করলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পরের ওভারেই নিজের দ্বিতীয় বলে কটরেলকে হুক করতে গিয়ে হোপের তৃতীয় ক্যাচের শিকার হলেন ম্যাক্সওয়েল। স্টিভ স্মিথ ও মার্কাস স্টয়নিস ইনিংস মেরামতে নেমেছিলেন। কিন্তু ৪১ রান যোগ করার পর স্টয়নিসেরও ধৈর্যচ্যুতি হলো। হোল্ডারের বলে থামল ২৩ বলে ১৯ রানের ইনিংস।