সাকিবের কথা শুনছেন তো বোলাররা?

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো বোলিং প্রত্যাশা সতীর্থদের কাছ থেকে। ছবি: এএফপি
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো বোলিং প্রত্যাশা সতীর্থদের কাছ থেকে। ছবি: এএফপি
>শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বোলিং ভালো করার প্রত্যাশা সাকিব আল হাসানের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে বোলিং নিয়ে হতাশ তিনি।

সাকিব আল হাসানের কণ্ঠেই ঝরল হতাশাটা। আসলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কার্ডিফে বাংলাদেশের বোলারদের বোলিংয়ে হতাশ সবাই। ইংলিশরা নিজেদের ইনিংসের প্রথম থেকে শেষ অবধি এমন বিক্রমে ব্যাট চালিয়ে গেল, যেন ব্যাটিংটা কত সহজ! কোনো চাপ নেই, হুমকি নেই, ব্যাটিংটা কেবল সহজই নয়, খুব আরামেরও। প্রথম কয়েক ওভার কেবল বোলিংয়ের বিষ মাপার জন্য কিছুটা সময় নিয়েছিলেন জেসন রয় আর জনি বেয়ারস্টো। মেপে দেখলেন, বিষ তো দূরের কথা বাংলাদেশের বোলিংয়ে ফুলের কাঁটাটিও নেই, তখনই নিজেদের চেহারাটা বাইরে আনলেন। মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন, মোসাদ্দেক হোসেন—ঝড় বয়ে গেল সবার ওপর দিয়েই। ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ৩৮৬—স্কোরটাই বলে দেয় কী ভীষণ বিপদে ছিলেন বোলাররা।

এবারের ২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার সাকিবই। ব্যাট হাতে প্রথম দুই ম্যাচেই পেয়েছেন ফিফটি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুঃস্বপ্নের ম্যাচে তাঁর সেঞ্চুরিটা তো ছিল অসাধারণই। এ মুহূর্তে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটসম্যান তিনি। বল হাতে তিন ম্যাচে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা আর নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ বাদ দিলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিং রীতিমতো পোড়াচ্ছে তাঁকে। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের হেসেখেলে ব্যাটিংয়ের ব্যাপারটি কেন যেন কিছুতেই ভুলতে পারছেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে সে হতাশাটা প্রকাশ না করে পারেননি, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা যেভাবে বোলিং করেছি, সেটা খুবই হতাশাজনক।’

দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের বোলিংটা বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত দারুণ স্মৃতি বাংলাদেশের। বাকি ছয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে হলে সেই দুই ম্যাচের বোলিংই বাংলাদেশের জন্য প্রেরণা, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা খুব ভালো বোলিং করেছি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সে ধরনের বোলিং আমাদের প্রত্যাশা।’

ব্রিস্টলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছে না বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দারুণ একটা শুরুর পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ উইকেটের হারে যদি আক্ষেপ মিশে থাকে, তাহলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি বড় ধরনের আঘাতই। সে আঘাত সামলে সামনের ম্যাচগুলোতে নতুন করে নিজেদের সাজাতে ব্রিস্টলের শেষ হাসিটা হাসা খুব জরুরি।

বাংলাদেশের বোলাররা সাকিবকে শুনেছেন তো!