বিশ্বকাপ দেখা খুব কষ্টকর হ্যাজলউডের

হ্যাজলউডের জন্য ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুধুই কষ্টের।
হ্যাজলউডের জন্য ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুধুই কষ্টের।
>

পিঠের চোটটা না থাকলে এখন হয়তো অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে থাকতেন ইংল্যান্ডে। খেলতেন বিশ্বকাপও। কিন্তু সেরকম কিছুই হয়নি, চোটের কারণে জায়গা হয়নি অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াডে। আক্ষেপ করে তাই বিশ্বকাপের খেলাও দেখছেন না অস্ট্রেলিয়ান এই পেসার।

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ২০১৯ নিয়েই ব্যস্ত ক্রিকেটপ্রেমীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনেও মানুষের আলোচনার বড় অংশ জুড়ে আছে ক্রিকেট । সাবেক তারকা খেলোয়াড়রাও জানাচ্ছেন তাদের অভিমত। কেউ কেউ ক্রিকেটারদের প্রশংসা করছেন, কেউ বা সমালোচনা । মোটের ওপর বিশ্বকাপ নিয়েই আছেন সবাই। তবে ব্যতিক্রম অস্ট্রেলিয়ান পেসার জস হ্যাজলউড। ২৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের জন্য বিশ্বকাপ দেখাটাই নাকি খুবই কষ্টকর।

পিঠের চোট সেই জানুয়ারি থেকেই ভোগাচ্ছে। এ কারণে বিশ্বকাপ দলে নেই তিনি। হ্যাজলউড আপাতত প্রস্তুতি নিচ্ছেন সামনের অ্যাশেজ সিরিজ নিয়ে। ব্রিসবেনে অস্ট্রেলীয় ‘এ’ দলের সঙ্গে আছেন, সঙ্গী পিটার হ্যান্ডসকম্ব, ট্রাভিস হেড, মারকাস হ্যারিস। হ্যাজলউডের মতো কপাল পোড়া এই তিন অস্ট্রেলিয়ানও। বিশ্বকাপটা খেলা হচ্ছে না কারওরই। তবে অন্যদের চেয়ে হ্যাজলউডের দুঃখটাই যেন বেশি। বিশ্বকাপে খেলছে অস্ট্রেলিয়া অথচ অস্ট্রেলিয়ার কোনো খেলাই নাকি দেখছেন না এই পেসার. ‘আমি আমার সম্পূর্ণ মনোযোগ আপাততো এখানে (ব্রিসবেন) দিচ্ছি। আমি যা করছি করছি সেটাই এখন আমার সব।’

বিশ্বকাপ কেন দেখছেন না, সেটিরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন হ্যাজলউড, ‘আমি রাতে যখন বাসায় ফিরি, তখন হয়তো কয়েকটা ওভার দেখি। কিন্তু আমি পারতপক্ষে এড়িয়ে যাই ম্যাচগুলো। যত বেশি তুমি দেখবে সম্ভবত তত বেশি মনে পরবে। তাই আমি যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাই।’

বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের আগ্রহ না থাকলেও অ্যাশেজকেই পাখির চোখ করেছেন এই অস্ট্রেলীয় পেসার, ‘আমি জানি আমি ভালো করতে পারব। আমি এখন শারীরিকভাবে সুস্থ আছি। আর এই ফিটনেস নিয়েই আমি অ্যাশেজ খেলতে চাই। আমার ভাবনায় এখন শুধুই অ্যাশেজ।’