আফ্রিদির চড় খেয়ে মুখ খুলেছিলেন আমির!

শহীদ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ আমির
শহীদ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ আমির
>মোহাম্মদ আমির ও সালমান বাটের স্পট ফিক্সিং ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার আবদুল রাজ্জাক।

টন্টনে আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির। অথচ স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে এক সময় তাঁর ক্যারিয়ারটাই ঢেকে গিয়েছিল শঙ্কার কালো মেঘে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে জুয়াড়িদের কথায় স্পট ফিক্সিং করে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। এবার সেই স্পট ফিক্সিং নিয়েই নতুন তথ্য দিয়েছেন আবদুল রাজ্জাক। শহীদ আফ্রিদির চড় খেয়েই নাকি স্পট ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে মুখ খুলেছিলেন আমির!

পাকিস্তানি চ্যানেল জিএনএনকে দেওয়া রাজ্জাকের এক সাক্ষাৎকারে এসব অজানা তথ্য উঠে এসেছে। সাবেক এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার বলেছেন, ওই সফর চলাকালেই ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে মুখ খুলেছিলেন আমির, ‘একদিন আফ্রিদি আমাকে হঠাৎ হোটেলের কক্ষ থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলল। বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আমি চড় মারার আওয়াজ পেলাম। আফ্রিদির ওই চড় খেয়েই আমির সব সত্য স্বীকার করে নিয়েছিল।’

স্পট ফিক্সিংয়ের ওই কেলেঙ্কারি জানাজানি হওয়ার পর পাকিস্তান ক্রিকেটের নিন্দা কম হয়নি। রাজ্জাকের ভাষ্য, দোষী তিন ক্রিকেটারের পাশাপাশি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দায়টাও কম নয়, ‘আমি ভেবেছিলাম, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের জন্য আইসিসির কাছে না গিয়ে পিসিবি নিজ উদ্যোগেই তাৎক্ষণিকভাবে ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে অন্তত এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল। এ রকম কিছু না করে বিশ্বের কাছে পাকিস্তান ক্রিকেটের ভাবমূর্তিই নষ্ট করেছে পিসিবি।’

শুধু আমিরকে নিয়ে নয়, স্পট ফিক্সিং কাণ্ডের মূল হোতা সালমান বাটকে নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের হয়ে ৩৪৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা রাজ্জাক। ইংল্যান্ডের ওই কাণ্ডের আগে থেকেই ফিক্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বাট, এমনটাই দাবি রাজ্জাকের, ‘আমি আফ্রিদিকে অনেক আগেই বলেছিলাম (ফিক্সিংয়ের সঙ্গে বাটের যুক্ত থাকার কথা)। কিন্তু সে আমাকে বলেছিল, সবকিছু ঠিকঠাক আছে, এটা আমার ভুল ধারণা। কিন্তু ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের এক ম্যাচে সালমানের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের একপর্যায়ে আমার মনে হয়েছিল, সে ইচ্ছা করে দলকে বিপদে ফেলছে।’

এমনকি বলার পরেও বাট শোধরাননি বলেও জানিয়েছেন ৩৯ বছর বয়সী রাজ্জাক, ‘আমি ওকে সিঙ্গেল নিয়ে আমাকে স্ট্রাইক দিতে বলেছিলাম। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সে আমার কথা প্রত্যাখ্যান করল। যখন আমি বুঝতে পারলাম কোনো একটা গন্ডগোল আছে, আমি কঠোরভাবে বলেছিলাম আমাকে স্ট্রাইক দিতে। কিন্তু এরপরেও সে ইচ্ছাকৃতভাবে দুটি-তিনটি করে ডট বলে দিয়ে আমাকে স্ট্রাইক দিচ্ছিল। ওর এমন আচরণে আমি খুবই হতাশ হয়েছিলাম। ওর তৈরি করা চাপের কারণেই আউট হতে হয়েছিল আমাকে।’