ইতিহাসে নাম লিখিয়ে অলিম্পিকে রোমান

অলিম্পিকে যাওয়া নিশ্চিত করলেন রোমান। সংগৃহীত ছবি
অলিম্পিকে যাওয়া নিশ্চিত করলেন রোমান। সংগৃহীত ছবি

অলিম্পিকে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ মানেই কোটা সুবিধা। সরাসরি বাছাই বা যোগ্যতায় নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা—এই আপ্তবাক্য মেনে দেওয়া সুযোগ পেয়ে অলিম্পিকে যেতে পারতেন বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। রোমান সানা সে পথে হাঁটেননি, সরাসরি অলিম্পিকে যাচ্ছেন দেশ সেরা আর্চার।

এর আগে ২০১৬ রিও অলিম্পিকে সরাসরি খেলার ছাড়পত্র পান গলফার সিদ্দিকুর রহমান। কিন্তু আর্চার হিসেবে এই প্রথম সরাসরি অলিম্পিকে নিজের যোগ্যতায় যাচ্ছেন রোমান। রাতে হল্যান্ড থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ আর্চারি দলের সহকারী কোচ জিয়াউর রহমান, ‘হ্যাঁ, ইতিহাস গড়ে এই প্রথম রোমান অলিম্পিকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা পেল।’ ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ওয়াইন্ড কার্ড নিয়ে খেলেছিলেন আর্চার ইমদাদুল হক মিলন। কোটা প্লেস পেয়ে খেলেছিলেন ২০১০ সালের যুব অলিম্পিকেও।

হল্যান্ডে হুন্দাই বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে ছেলেদের ব্যক্তিগত রিকার্ভে দক্ষিণ কোরিয়ার কিম উজিনকে ৬-৪ পয়েন্টে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছেন রোমান। সেমিফাইনালে ওঠা মানে আগামী বছর জুনে টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি খেলার কোটা প্লেস পাওয়া। রোমানের এই অর্জন বাংলাদেশের গোটা ক্রীড়াঙ্গনের জন্যই দারুণ সুখবর।

রোমান কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার আর্চার কিমকে হারিয়েছেন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে সোনা জেতা এই আর্চার র‌্যাঙ্কিং রাউন্ডে চতুর্থ ছিলেন। অন্যদিকে এই চ্যাম্পিয়নশিপে রোমান র‌্যাঙ্কিং রাউন্ডে ছিলেন ২০তম। তবে পিছিয়ে থাকলেও দারুণ খেলে সেমিফাইনালে উঠে আসেন রোমান। যদিও রাতেই সেমিফাইনালে মালয়েশিয়ার খাইরুল আনোয়ারের কাছে ৭-৩ পয়েন্টে হেরে গেছেন। তাতে কী, মূল লক্ষ্যটা তো পূরণ হয়েছে। প্রতিযোগিতায় দুর্দান্ত খেলা রোমান তৃতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়া, প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে কোরিয়ার প্রতিযোগীর বিপক্ষে জেতেন ৬-৪ পয়েন্ট। কোয়ার্টারে ৬-২ পয়েন্টে হারান স্বাগতিক হল্যান্ডের প্রতিযোগীকে।