রানটা একটু কমই হলো অস্ট্রেলিয়ার!

সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন ফিঞ্চ। ছবি: এএফপি
সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন ফিঞ্চ। ছবি: এএফপি
শেষ ৫ ওভারে মাত্র ৩২ রান তুলে ৭ উইকেটে ৩৩৪ রানে থামল অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন ফিঞ্চ খেলেছেন ১৫৩ রানের ইনিংস।

ড্রেসিংরুমে নির্ঘাত কোনো আড়াল খুঁজে নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাজা। যে উইকেটে অন্য ব্যাটসম্যানরা রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন, সেখানে এ দুজন যেন শামুকের পিঠে চড়েছিলেন। টপ অর্ডারে এ দুজনের অবিশ্বাস্য ধীর গতির ইনিংস দুটিই শ্রীলঙ্কাকে একটু স্বস্তি দিল। না হলে আজ যে অস্ট্রেলিয়ার রানটা ৩৩৪ এর চেয়েও অনেক অনেক বেশি হতো।

ডেভিড ওয়ার্নার ২৬ রান করতে ৪৮ বল খেলেছেন। আর ১০ রান তুলতে খাজার লেগেছে ২০ বল। টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান মিলে ১১ ওভারেরও বেশি বল খেলে মাত্র ৩৬ রান এনে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে। স্ট্রাইক রেট পঞ্চাশের খানিকটা ওপরে, তবু অস্ট্রেলিয়া তিন শ ছুঁয়েছে ৪৫তম ওভারেই। কারণ, অ্যারন ফিঞ্চ ও স্টিভ স্মিথের ওয়ার্নারের পথে হাটতে ইচ্ছা হয়নি।

ওয়ার্নারের ঠুকঠুক ব্যাটিংয়ের পরও দশম ওভারের অর্ধেক শেষ হতেই পঞ্চাশ ছুঁয়েছে অস্ট্রেলিয়া। উদ্বোধনী জুটিটা অবশ্য আরও লম্বা হয়েছে। ১৭তম ওভারে ধনঞ্জয়ার অফ স্পিনে থেমেছেন ওয়ার্নার। দলের রান তখন ৮০। ওয়ার্নার বিদায় নেওয়ার পরই ফিফটি পেয়েছেন ফিঞ্চ। ৭ চারে পঞ্চাশ পেরোতে ৫৩ বল লেগেছে তাঁর। ফিফটির পরও দ্রুত রান তুলছিলেন ফিঞ্চ। অপর প্রান্তে নতুন সঙ্গী খাজা যদিও ওয়ার্নারের পথেই হাটতে লাগলেন। ফলে রানরেট কমতে লাগল দ্রুত। দলকে ঠিক এক শতে রেখে বিদায় নিলেন খাজা। ততক্ষণে ২৩ ওভার শেষ!

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে স্মিথ আসার পর দ্রুত রান তোলার সঙ্গী পেয়েছেন ফিঞ্চ। দুজনে মিলে এরপর রীতিমতো অত্যাচার করেছেন শ্রীলঙ্কান বোলারদের ওপর। প্রায় প্রতি ওভারেই সীমার ওপার থেকে বল কুড়িয়ে আনতে হয়েছে ফিল্ডারদের। স্মিথকে সঙ্গী পেয়েই নিজের মূল ফর্ম খুঁজে পেয়েছেন ফিঞ্চ। স্মিথ উইকেটে আসার আগে ৭০ বলে ৫৯ রান ছিল তাঁর। পরের ২৭ বলেই সেঞ্চুরিটা তুলে ফেললেন ফিঞ্চ! ৯৭ বলে সেঞ্চুরি পেয়ে দেড় শ ছুঁয়েছেন ১২৮ বলে। ১৭৩ রানের জুটিটা ভেঙে যখন ফিরেছেন তখন নামের পাশে ১৫৩, ১৩২ বলের ইনিংসে ১৫ চার ও ৫ ছক্কা।

১৭৩ রানের জুটিতে ৬২ বলে ৯৪ রান এনে দিয়েছেন ফিঞ্চ। আর ৫৭ বলে ৭২ রান ছিল স্মিথের। সঙ্গীর বিদায়ের পর স্মিথও টেকেননি বেশিক্ষণ। আর মাত্র দুই বল খেলেই ৭৩ রানে ফিরেছেন মালিঙ্গার বলে। এর পর ম্যাক্সওয়েল ঝড়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। নুয়ান প্রদীপের এক ওভারে ২২ রান তুলে দলকে তিন শ এনে দিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ইনিংস আবারও ভেঙে পড়ল পাকিস্তান ম্যাচের মতোই। ৯ বলে ৩ করেছেন শন মার্শ। তিন বলের মধ্যে রান আউট হয়েছেন অ্যালেক্স ক্যারি ও প্যাট কামিন্স।

ম্যাক্সওয়েলের ২৫ বলে ৪৬ রানের পরও শেষ ৫ ওভারে মাত্র ৩২ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। ওভালে কোনো স্পিনার না নিয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ শেষে এ নিয়ে অনুশোচনায় পুড়তেও পারে।