ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশকেই ফেবারিট মনে করেন তামিম

নিজের সেরাটা দেওয়ার অপেক্ষায় তামিম। ছবি: শামসুল হক
নিজের সেরাটা দেওয়ার অপেক্ষায় তামিম। ছবি: শামসুল হক

দুটি ঘটনায় কিছু সময়ের জন্য শঙ্কার ছায়া নেমে এল সমারসেট ক্রিকেট মাঠে। নেটে ব্যাটিং অনুশীলনের সময় মোস্তাফিজুর রহমানের বলের আঘাতে চোট পান মুশফিকুর রহিম। একটু পর ওই নেটেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ব্যাট থেকে ধেয়ে আসা বলে মাথায় আঘাত পান স্থানীয় নেট বোলার রেনেল।

দুজনই মোটামুটি শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। তবে মুশফিকের অবস্থাটা ভালোভাবে বুঝতে আরেকটু সময় লাগবে। এই দুটি ঘটনা বাদ দিলে কাল অনুশীলনে ফেরার দিনে চাঙাই মনে হলো বাংলাদেশ দলকে। দুই দিনের বিশ্রামটা তাহলে কাজে লেগেছে!

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মূল অস্ত্র পেস বোলিং। সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে শট বলেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চেয়েছে তারা। তবে টন্টনের মাঠ ছোট। স্পিনারদের চেয়ে পেসারদের ঝুঁকিটা এখানে কম থাকলেও শর্ট বল দিয়ে ব্যাটসম্যানকে ভড়কে দেওয়ার চেষ্টা করতে গেলে হুক-পুল খাওয়ার সম্ভাবনাও আছে। আজ শনিবার বাংলাদেশ দলের অনুশীলন দেখেও বোঝা গেছে শর্ট বল খেলার প্রস্তুতিটাই তারা বেশি নিচ্ছেন। অনুশীলনের মাঝে সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবালও বলে গেলেন, ‘আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা শর্ট বল দেওয়ায় বেশি মনোযোগী ছিল। তবে এসব বলে রান করারও সুযোগ দেবে ওরা। এটা সামলাতে আশা করি কাজটা কঠিন হবে না আমাদের জন্য।’

সেমিফাইনালের লক্ষ্য পূরণে বাকি পাঁচ ম্যাচের অন্তত চারটিতে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। তবে এখনই অত দূর না ভেবে তামিম এগোতে চান ম্যাচ ধরে ধরে, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে আমাদের জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বৃষ্টির জন্য ওটা হয়নি। এখনো আমাদের পাঁচটা খেলা বাকি। এটা ঠিক যে আমাদের যত বেশি সম্ভব ম্যাচ জিততে হবে। তবে আমি এখনো সেভাবে ভাবতে চাই না। ম্যাচ ধরে ধরে চিন্তা করছি। আপাতত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটা জিততে চাই।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সোমবারের ম্যাচে বাংলাদেশকেই ফেবারিট মনে করেন তামিম। তবে সমারসেটের উইকেটে সব সময় ব্যাটসম্যানদের জন্য বেশি সুবিধা থাকলেও এবার বোলাররাই সুবিধা পাচ্ছেন বেশি। তার ওপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণে অন্তত তিনজন বোলার আছেন যাদের বলের গতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার এর বেশি। অবশ্য এই বোলারদের বিপক্ষেই সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স ভালো। তামিমের আশা বিশ্বকাপের ম্যাচেও সেই খেলাটা খেলতে পারবেন তাঁরা।

তামিম কথা বলেছেন নিজের ব্যাটিং নিয়েও। ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে সময়টা ভালো যাচ্ছে না তাঁর। তিন ম্যাচ খেলেও পারেননি প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে। এ নিয়ে তাঁর নিজের ব্যাখ্যা, ‘আমি হয় তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাই। অথবা ১০-১২ ওভার উইকেটে টিকে গেলে বড় ইনিংস খেলে ফেলি। এবার সেটি হচ্ছে না। শুরুর কষ্টটা আমি করছি। কিন্তু যখনই ইনিংসটা লম্বা করতে যাব, তখনই আউট হয়ে যাচ্ছি। তিন ম্যাচের অন্তত দুটিতে আমি নিজেই উইকেট দিয়ে এসেছি।’

ভুলটা কোথায় ধরতে পারছেন তামিম। সেটি শোধরানোটাও তাঁরই কাজ। কে জানে টন্টনেই হয়তো সব ভুল শুধরে জ্বলে উঠবে তামিমের ব্যাট। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে এ মাঠে ১৮৩ রানের ইনিংস খেলেছেন ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলী। এবার টন্টনের আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছেন ডেভিড ওয়ার্নারও। বাঁহাতি ওপেনারদের মাঠে এবার তাহলে তামিম ইকবাল নন কেন!