বাংলাদেশের বিপক্ষে উইন্ডিজকে জিততেই হবে

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড। ছবি: টুইটার
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড। ছবি: টুইটার
আইসিসির ওয়েবসাইটে কলাম লিখেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড। কাল বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার আগে প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য ক্লাইভ লয়েডের কলাম তুলে ধরা হলো


ওয়েস্ট ইন্ডিজের যদি বিশ্বকাপ জিততে হয়, তাহলে তাদের লড়াই করা শুরু করতে হবে। তাদের দেখাতে হবে কী দিয়ে তৈরি ক্যারিবীয়রা।

হার আর খারাপ দিন এমন টুর্নামেন্টে আসবেই। আমরা সবাই আশা করব, সব খারাপ দিন গুলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেছনে ফেলে এসেছে। সামনে শুধু ভালো দিন গুলোই অপেক্ষমাণ। আমি মনে করি ওদের টুর্নামেন্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত যাওয়ার রসদ আছে, ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজর ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে নিয়মিত। সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে হলে এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচ জিততে হবে ওদের। ১১ পয়েন্ট হয়তো যথেষ্ট হবে শেষ চারে যাওয়ার জন্য। এটাও মাথায় রাখতে হবে। সামনে ওদের খেলতে হবে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের মতো দলের বিপক্ষে।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হার হতাশার ছিল। ম্যাচটা বড় ম্যাচ ছিল। ওরা টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বাজে ব্যাটিংটা করে ফেলল সেদিন।

একবার ইংল্যান্ডের সেরা বোলারদের সামলে ফেলার পর উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসা উচিত হয়নি। আমরা পার্ট-টাইমার জো রুটকে উইকেট দিয়েছি। রুট এমন বোলার, যার বোলিংয়ে আপনি সারা দিন রান করে যেতে পারবেন। দুই তরুণ ব্যাটসম্যান শিমরন হেটমায়ার ও নিকোলাস পুরান ভাঙা ইনিংস গড়ার চেষ্টা করেছে এবং ওরা ভালোই চেষ্টা করেছে।

বিশেষ করে পুরান আমাকে মুগ্ধ করে এবারের টুর্নামেন্টে। কিন্তু আমরা দুজন তরুণ ব্যাটসম্যানকে সব কাজ চাপিয়ে দিতে পারি না। বাকি ব্যাটসম্যানরা এই দুজনকে চাপে ফেলেছে। আর সাউদাম্পটনের উইকেটও ব্যাটিং সহায়ক ছিল।

আমাদের দলে অনেক পাওয়ার হিটার আছে। কিন্তু আমাদের হয়তো উইকেটে পড়ে থাকতে পারে, এমন কাউকে দরকার। আমাদের সময় দলে ছিলেন ল্যারি গোমেজ, যে কিনা এই দায়িত্ব পালন করতে পারতেন। আমরা হয়তো মঈন আলির মতো একজন অলরাউন্ডারকে দলে না নেওয়ার ভুল করেছি। এমন একজন যে কিনা ব্যাটিংয়ে শূন্যতা কাটাবে। রোস্টন চেজ এই দায়িত্ব পালন করতে পারত। স্পিন বোলিংয়ের সঙ্গে ইনিংস গড়ে দিতে পারত।

বোলারদেরও আবার ভাবতে হবে। ওরা প্রতি ম্যাচেই পাকিস্তানের মতো উড়িয়ে দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে যেতে পারবে না। কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ ও উইকেট বুঝে মানিয়ে নিতে হবে। কিন্তু এখনই সব শেষ হয়ে যায়নি। জেসন হোল্ডারকে তাঁর দলের প্রতি আস্থা রাখতে হবে এবং সঠিক পথে ফেরাতে হবে। ওরা টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো করেছে এবং এখনো লড়াই করছে।

সোমবার ওদের পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ হালকা ভাবে নেওয়ার মতো দল না। সম্প্রতি ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ওরা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে, ইংল্যান্ডের বড় রানের জবাবে ভালো খেলেছে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিততেই হবে। বাংলাদেশও নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাসী থাকবে। এখন কাজটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপর। তাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং গোনায় ধরার মতো দলে পরিণত হতে হবে।