পুরো ম্যাচ হলে ভারতই জেতার কথা

নটিংহাম থেকে ম্যানচেস্টারে আসার পথে বৃষ্টিতে পড়িনি একটুও। অবশ্য আকাশে মেঘ চোখে পড়েছে মাঝেমধ্যে। ল্যাঙ্কাশায়ার দিয়ে যাওয়ার পথে তো একেবারে নতুন দৃশ্য, সূর্যেরই দেখা পেলাম। আবহাওয়ার পূর্বাভাসও ইতিবাচক। সংক্ষিপ্ত হলেও খেলা হবে ম্যানচেস্টারে। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এর চেয়ে ভালো খবর আর কী হতে পারে।

হ্যাঁ, ভারত-পাকিস্তান মহারণ এখানে। কিন্তু এর চেয়েও বড় স্বস্তি, অবশেষে ব্যাট-বলের লড়াইয়ের দেখা মিলেছে। সাউদাম্পটনে অবশ্য ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটা ভালোভাবেই হয়েছে। সেখানে ইংল্যান্ড দারুণভাবে জিতে বুঝিয়ে দিয়েছে, কেন তারা এই বিশ্বকাপে শিরোপার বড় দাবিদার।

পাকিস্তান এখন পর্যন্ত যে চারটা ম্যাচ খেলেছে, এর মধ্যে একটা জিতেছে, দুটি হেরেছে আর একটি ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। সুতরাং টুর্নামেন্টে টিকে থাকার জন্য ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচটা ওদের জিততেই হবে। কাজটা ওদের জন্য সহজ হওয়ার কথা না, কারণ ওদের ব্যাটিং মোটেই ধারাবাহিক নয়। অন্যদিকে মোহাম্মদ আমির ছাড়া অন্য কোনো বোলার ওভাবে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলতে পারছে না। তবে এই আমিরই কিন্তু দুই বছর আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। পাকিস্তান চাইবে সে যেন আজও আরও একবার ও রকম একটা স্পেল করতে পারে।

চোটের কারণে শিখর ধাওয়ান না থাকায় ভারতের ব্যাটিং শক্তি কিছুটা তো কমেছে অবশ্যই। আবার একই সঙ্গে এটা বিজয় শঙ্করের জন্য সুযোগ নিজেকে মেলে ধরার। সে এই পর্যায়ের ক্রিকেটের জন্য, এই ধরনের ম্যাচের জন্য কতটা তৈরি, সেটা দেখানোর। ও এরই মধ্যে প্রমাণ করেছে যে সে দারুণ ব্যাট করে, ফিল্ডিংও ভালো। কিন্তু ম্যাচ টেম্পারমেন্ট কেমন, সেটা এখনো দেখানোর বাকি আছে। এই ম্যাচে সেই পরীক্ষা হয়ে যাবে ওর। আমার মনে হয় ভারত তৃতীয় পেসার হিসেবে মোহাম্মদ শামিকে খেলাবে, একমাত্র স্পিনার হিসেবে খেলবে যুজবেন্দ্র চাহাল।

এ রকম ম্যাচে কোনো দলই আসলে খুব বেশি পরিবর্তন আনতে চাইবে না। অবশ্য যদি চোটের সমস্যা থাকে তাহলে অন্য কথা, কিংবা কন্ডিশনের কারণে যদি বদল আনতে হয়।

যদি পুরো ৫০ ওভারের ম্যাচ হয়, ভারতেরই জেতার কথা। কারণ, ভারত শুধু পাকিস্তানের তুলনায় ভালো দলই নয়, বেশি অভিজ্ঞও। দুই দলের মধ্যে ভারতের ফিল্ডিংটাই ভালো। যদি কাটছাঁট করে কম ওভারের ম্যাচ হয়, তাহলে যেকোনো দলই জিততে পারে। সুতরাং ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা অবশ্যই প্রার্থনা করবেন, বৃষ্টির দেবতা আজ যেন ম্যানচেস্টার থেকে দূরে থাকেন।