রুবেলকে দলে চাই আজ

দীর্ঘ বিরতির পর বাংলাদেশ খেলতে নামছে। প্রতিটি ম্যাচের মতো আজও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় প্রত্যাশা করছি। কিন্তু বিশ্বকাপে প্রতিটি দল খুবই ভালো। ওয়েস্ট ইন্ডিজও ব্যতিক্রম নয়। পয়েন্ট তালিকায় একই অবস্থানে আছে দুই দল। সেমিফাইনালের সমীকরণ দুই দলের জন্যই সমান। আমাদের সুযোগ ছিল এগিয়ে যাওয়ার। আমাদের ভাগ্য খারাপ, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচটা হয়নি।

আমি চাইব, রুবেল একাদশে ফিরুক। মিরাজ ও সাকিবরা ভালো বোলিং করে আসছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যান বাঁহাতি। ওদের জন্য মিরাজ হাতিয়ার হবে। সাইফউদ্দিন নতুন বলে উইকেট পাচ্ছে না। শেষে এসে উইকেট পাচ্ছে। ভালো করা এক জিনিস আর দলের প্রয়োজনে ভালো করা আরেক জিনিস। আমি রুবেলকে সুযোগ দিতাম, শুধু দলের কম্বিনেশনের কারণে।

টন্টন মাঠ কিছুটা ছোট। স্পিনারদের জন্য গতির বৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। সাকিব-মিরাজরা তিন ম্যাচ খেলে ফেলেছে, কন্ডিশন কেমন হবে ওদের জানা আছে। আর টন্টনেও আগে পৌঁছেছে ওরা। ওরা জানে কীভাবে এই কন্ডিশনে বোলিং করতে হবে।

তামিম ও মাহমুদউল্লাহর জন্য ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। তামিম শুরুতে বড় রান করে দিলে বাংলাদেশের জন্য সহজ হয়ে যায়। মাহমুদউল্লাহ তো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আদর্শ মঞ্চ পেয়েছে, রান করেছে। বাকি ব্যাটসম্যানদের কাজ হচ্ছে মাহমুদউল্লাহকে সেই মঞ্চ গড়ে দেওয়া। ছয় নম্বরে ব্যাট করা কঠিন কাজ। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করতে হয়। আশা করি, শেষের দিকে ঝড় তোলার মঞ্চ পাবে মাহমুদউল্লাহ।

২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বলে-কয়ে হারানো যাবে না। তবে ওদের দলে ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেলরা যেমন আছে, তেমনি ফাঁকফোকরও আছে। আমাদের একটু সুবিধা থাকবে, কারণ আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছি ওদের বিপক্ষে। রাসেল-গেইলরা হয়তো ছিল না। ওরা একা হাতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তবে ওরা ধারাবাহিক না। আশা করি, দিনটা যেন রাসেল ও গেইলদের না হয়।

শাই হোপ ওদের আসল ম্যাচ জেতানো ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের সঙ্গে গত ডিসেম্বর থেকেই ভালো করে আসছে। ত্রিদেশীয় সিরিজেও রান পেয়েছে। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার চেষ্টা করে সে। ওকে দ্রুত ফেরাতে হবে। পেসারদের উচিত অফ স্টাম্পের ওপর বল করা।

এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল বাউন্সারের হুমকি দিয়ে আসছে। এই যুগে এসব খুব একটা কাজে লাগে না। গায়ে বল মেরে এখন আর বাংলাদেশ দলকে ভয় পাইয়ে দেওয়া যাবে না। প্রথম ম্যাচে দেখেছেন না? কীভাবে বাউন্সারের জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড ম্যাচেও দেখেছি ভালো করেছে। গায়ে লেগেছে, দু-একটি বল লাগতেই পারে। তবে রান করার ইচ্ছে ছিল ব্যাটসম্যানদের চোখে-মুখে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের বিপক্ষেও একই বাংলাদেশকে দেখা যাবে।