খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগোচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রেখেছেন কিউই বোলাররা। ছবি: রয়টার্স
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রেখেছেন কিউই বোলাররা। ছবি: রয়টার্স
>টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেটে আছেন ডেভিড মিলার ও রাসি ফন ডার ডুসেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা কি ম্যাচটা জেতার তাগিদ নিয়ে মাঠে নেমেছে আজ? ব্যাটিং দেখে সেরকম কিছু মনে হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা এগোচ্ছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ৩৬ ওভার শেষে দলটির সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৪৯ রান।

২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ১০ ওভার শেষে মনে হচ্ছিল, বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়ায় কিউই পেসারদের একটু দেখেশুনে সামলানোর জন্যই ধীরেসুস্থে খেলছে ফাফ ডু প্লেসির দল। কিন্তু ম্যাচের অধিকাংশ সময় জুড়ে অতিরিক্ত সাবধানী ব্যাটিংই করেছে পাঁচ ম্যাচ শেষে মাত্র এক জয় পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা।

এখনো পর্যন্ত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র অর্জন বলা যেতে পারে দ্বিতীয় দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে হাশিম আমলার ৮ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়াকে। বিরাট কোহলির চেয়ে মাত্র এক ইনিংস বেশি খেলে (১৭৬) এই মাইলফলকে পৌঁছেছেন আমলা। আমলার আগে মাত্র তিনজন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান ওয়ানডেতে ৮ হাজার রান পেরোতে পেরেছেন। মজার বিষয় হলো, আমলা যে মাঠে ৮ হাজার রান করলেন, এই বার্মিংহামেই ৮ হাজার রান ছুঁয়েছিলেন কোহলি।

রেকর্ড গড়া আমলা অবশ্য ফিফটির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৮৩ বলে ৫৫ করে মিচেল স্যান্টনারের বল বুঝতে না পেরে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন। ভরসা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি এইডেন মার্করামও। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে ফেরার আগে করেছেন ৫৫ বলে ৩৮।

আউট হওয়া চার ব্যাটসম্যানের কারোর স্ট্রাইকরেটই ৭০ এর ঘর ছুঁতে পারেনি। এ থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার খোঁড়ানোর চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে যায়। ৪৯ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে লড়াই করার মতো স্কোর পেতে দক্ষিণ আফ্রিকার ভরসা এখন ডেভিড মিলার ও রাসি ফন ডার ডুসেন।

কৃতিত্ব প্রাপ্য নিউজিল্যান্ডের বোলারদেরও। একমাত্র ট্রেন্ট বোল্ট বাদে কোনো বোলারই ওভারে পাঁচের বেশি রান দেননি। ম্যাট হেনরি বাদে বাকি চার বোলারের প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট পেয়েছেন। সবচেয়ে কিপটে বোলিং করেছেন ডি গ্র্যান্ডহোম। ৯ ওভার বল করে মাত্র ২৬ রান খরচায় নিয়েছেন একটি উইকেট।