সাকিব বাংলাদেশ দলের 'ওয়ান-ম্যান আর্মি নয়'

নটিংহামে বাংলাদেশের অনুশীলনে সাকিব আল হাসান। ছবি: শামসুল হক
নটিংহামে বাংলাদেশের অনুশীলনে সাকিব আল হাসান। ছবি: শামসুল হক
>বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন সাকিব আল হাসান। মনে হতে পারে বাংলাদেশ যেন একজনে সওয়ার হয়ে এগোচ্ছে, সাকিবের ওপর দল বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা মনে করেন, শুধু সাকিবের ওপর নির্ভর করে দল ‘ওয়ান-ম্যান আর্মি’ নয়

সাকিব আল হাসান কোথায়? আজ ট্রেন্টব্রিজে বাংলাদেশ দলের স্কিল ট্রেনিংয়ে সাকিবকে না দেখে প্রশ্নটা ঘুরেফিরে এল। বাংলাদেশ অলরাউন্ডার এসেছেন, শুধু ফিল্ডিং অনুশীলন করে ফিরে গেছেন ড্রেসিংরুমে। সাকিবের খোঁজই তো সবাই করবে—এই বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই।

চারদিকে এখন সাকিব-সাকিব রব। ক্রিকেট বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে ধারাবাহিক ভালো খেলছেন। আলোচনায় তিনি তো থাকবেনই। সাকিব যেভাবে ধারাবাহিক ভালো খেলছেন, মনে হতে পারে বাংলাদেশ যেন একজনে সওয়ার হয়ে এগোচ্ছে, একজনের ওপর দল বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। সাকিব এই দলের যেন ওয়ান-ম্যান আর্মি!

মাশরাফির অবশ্য এতে আপত্তি আছে, ‘না, বিষয়টা ওয়ান-ম্যান আর্মি নয়। সাকিব রান করছে, এটা দলের জন্য দারুণ ব্যাপার। যদি অন্যদের দেখেন, মোস্তাফিজ গত ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুটি উইকেট পেয়েছে। সাইফউদ্দীন দ্রুত ক্রিস গেইলকে ফিরিয়েছে। নিশ্চয়ই জানেন, গেইল কী করতে পারে। হ্যাঁ, সাকিব তাঁর সেরা ছন্দে আছে এখন। তবে দলের অন্য খেলোয়াড় যেমন—মোস্তাফিজ, সাইফউদ্দীন এমনকি তামিমও ভালো করেছে। সৌম্য ভালো শুরু এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। লিটন ভালো করেছে। মিরাজ ভালো বোলিং করছে। এটা তাই ওয়ান-ম্যান আর্মি হচ্ছে না। তবে হ্যাঁ, যেটা বললেন সাকিব দুর্দান্ত খেলছে।’

তবে মাশরাফি মানছেন, সাকিবের সঙ্গে বাকিদেরও ধারাবাহিক ভালো খেলতে হবে। তাঁকে সমর্থন না দিতে পারলে দল হিসেবে ভালো করা কঠিন হয়ে যাবে। আজ ট্রেন্টব্রিজের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘সাকিব দুর্দান্ত। সে খুবই আত্মবিশ্বাসী। আশা করি সে যা করছে তা করে যাবে। সে যেভাবে খেলছে, আমাদের ওকে সঙ্গ দেওয়া উচিত। যেমন, অন্যদিক থেকে লিটন ভালো ইনিংস খেলেছে। তামিম-সৌম্য ভালো শুরু করেছে। সাকিব যা করছে তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে এবং বাকিদের অগ্রসর হতে হবে। এখানকার উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। আমাদের বোলারদের ভালো করতে হবে, অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের থামাতে হবে।’

ব্রিস্টল-টন্টনের তুলনায় নটিংহাম মাঠটা বাংলাদেশের অনেক পরিচিত। এখানে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে চারটা ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ‘সবগুলোই তো হেরেছি!’—সংবাদ সম্মেলন শেষে মাঠে ঢোকার আগে পরিসংখ্যানটা মনে করে মুচকি হাসলেন মাশরাফি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টন্টন থেকে টনটনে আত্মবিশ্বাস নিয়ে নটিংহামে আসা মাশরাফিরা এবার নিশ্চয়ই হারতে চাইবেন না!