আবাহনীর জয়কে 'ব্রাজিল-জার্মানি'র সেই ম্যাচের সঙ্গে তুলনা!

সংবাদ সম্মেলনে মানাং মার্শিয়াংদির কোচ চিরিং লোপসাং। ছবি: বাফুফে
সংবাদ সম্মেলনে মানাং মার্শিয়াংদির কোচ চিরিং লোপসাং। ছবি: বাফুফে
>এএফসি কাপের ইতিহাসে আজ সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নেপালের ক্লাব মানাং মার্শিয়াংদিকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে আবাহনী। আবাহনীর বড় জয়কে ২০১৪ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জার্মানি-ব্রাজিল ম্যাচের সঙ্গে তুলনা করেছেন মানাংয়ের কোচ

যে কোনো হার বরাবরই কষ্টের, সেখানে ৫-০ গোলের বড় পরাজয়ের বোঝা। মানাং মার্শিয়াংদি ক্লাবের কোচ চিরিং লোপসাং গুরুংকে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিধ্বস্ত সেনাপতির মতে মনে হচ্ছিল। একটু আগেই যার বাহিনী অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে প্রতিপক্ষ দলের কাছে। অথচ ম্যাচের আগে ঢাকা জয় করে নেপালে ফেরার হুংকার দিয়েছিলেন তিনি।

জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নেমে ৫-০ গোলের হার। বিষয়টি কীভাবে মূল্যায়ন করছেন নেপাল চ্যাম্পিয়ন ক্লাবের কোচ ? এই প্রশ্নের জবাবে প্রথমে ঢাকার গরম আবহাওয়াকে দায়ী করলেন চিরিং লোপসাং। পরে পাল্টা প্রশ্ন রাখলেন বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ব্রাজিলের ৭ গোল খাওয়ার কথা মনে আছে কিনা, ‘আগের ম্যাচে খুবই ভালো খেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা ১-০ গোলে হেরেছিলাম। এখানে জয়ের প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু গরম আবহাওয়ায় আমরা স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারিনি। আর যে কোনো দলের খারাপ দিন যেতেই পারে। বিশ্বকাপে জার্মানির কাছেও অপ্রত্যাশিতভাবে ৭ - ১ গোল হেরেছিল ব্রাজিল।’ আসলে আজ যেভাবে ঝড়ের গতিতে টপাটপ গোল করেছে আবাহনী, ব্রাজিলের এস্তাদিও স্টেডিয়ামের কথা নেপাল কোচের মনে পড়তেই পারে।

তিন মৌসুম ধরে এএফসি কাপে খেলছে আবাহনী। বেশির ভাগ সময়ে বিদেশি দলগুলোর বিপক্ষে সময়ে ধুঁকতে দেখা গিয়েছে তাদের। সেই খোলস বদলে এবার নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। আজকের বড় জয়ের পর টেবিলের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করাই তাদের সামনে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার বড় সুযোগ । শেষ ম্যাচে আসামে মিনার্ভা পাঞ্জাবের বিপক্ষে জিতলেই দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট নিশ্চিত। তাই এত বড় জয়ের পরও আগামী ম্যাচ নিয়েই বেশি কথা বলেছেন আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোস, ‘বড় জয় পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে আমরা খুশি। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে হলে পরের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে আমাদের। আজকের ম্যাচ আগামী ম্যাচের জন্য আমাদের অনুপ্রেরণা। খেলোয়াড়েরা এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী । তারা বিশ্বাস করবে যে কোনো দলকে হারানোর ক্ষমতা আছে তাদের।’

দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিটের লড়াইয়ে আবাহনীর প্রতিপক্ষ ভারতের চেন্নাইয়িন এফসি। ৫ ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আবাহনী। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় চেন্নাইয়িন। ২৬ জুন শেষ ম্যাচে আসামে মিনার্ভা পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাঠে নামবে আবাহনী। আর কাঠমান্ডুতে মানাংয়ের সঙ্গে খেলবে চেন্নাইয়িন এফসি।