লোকে সহজে ভুলে যায় সবকিছু, উপলব্ধি রশিদের

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিষ্ঠুর সেই দিনের কথা দ্রুত ভুলে যেতে চাইবেন রশিদ। ছবি: টুইটার
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিষ্ঠুর সেই দিনের কথা দ্রুত ভুলে যেতে চাইবেন রশিদ। ছবি: টুইটার
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বোধ হয় ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন দিন কাটালেন রশিদ খান। বেহাল বোলিং এবং দলের বিশাল পরাজয়ে সমালোচকেরা আফগান এই স্পিন জাদুকরকে ঘিরে ধরেছেন।

রশিদ খানের বোলিং নিয়ে আফগানদের অনেক পরিকল্পনা থাকে। তাঁর দশটি মূল্যবান ওভার ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতেই ব্যবহার করেন অধিনায়ক। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ ওভার বোলিং করেই ক্ষান্ত দেন রশিদ। অধিনায়ক গুলবদিন নাইবও তাঁর হাতে আর বল তুলে দেওয়ার সাহস করেননি।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ ওভারে ১১০ রান দিয়েছেন রশিদ। ওতেই লজ্জার বেশ কিছু রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন রশিদ। বোলিং কোটা পূরণ হলে খরচে বোলিংয়ের বিশ্ব রেকর্ডও হয়ে যেত হয়তো। ঝুঁকিটা আর নেননি রশিদ।

সেই ম্যাচের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণ এই লেগ স্পিনারের বোলিং পরিসংখ্যান নিয়ে হাসি-তামাশা হয়েছে প্রচুর। আইসল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের টুইটারে অ্যাকাউন্টও ট্রল করেছে রশিদ খানকে। ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে রশিদ অবশ্য জানিয়েছেন এসবকে পাত্তা দেন না, ‘আমি ওই ম্যাচ নিয়ে খুব একটা ভাবছি না। মানুষ আপনার দশটি ভালো দিন ভুলে যাবে, কিন্তু ওই একটি খারাপ দিন কখনো ভুলবে না। আগের ম্যাচগুলোতে রশিদ কী করেছে, তা মনে রাখার কোনো ইচ্ছেই তাদের নেই।’

২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে খাদের কিনারায় অবস্থান করছে আফগানিস্তান। রশিদ নিজেও একেবারেই নিষ্প্রভ। একদিনের ক্রিকেটে ৬৪ ম্যাচে ১২৮ উইকেট নেওয়া রশিদ বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে পেয়েছেন মাত্র ৩ উইকেট। তবে দ্রুতই ছন্দে ফিরতে তৈরি সময়ের অন্যতম সেরা সেই স্পিনার, ‘গত ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে পরের ম্যাচের জন্য নিজেকে তৈরি করছি। সমস্যাগুলোকে খুব জটিল করে না দেখে তা সাধারণভাবে সমাধানের চেষ্টা করছি।’

বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বাজে অবস্থার জন্য বড় দলগুলোর বিপক্ষে কম ম্যাচ খেলাকেই দায়ী করলেন একদিনের ক্রিকেটে র‍্যাঙ্কিংয়ের তৃতীয় সেরা বোলার রশিদ, ‘অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে আমরা নিয়মিত খেলার সুযোগ পাই না। তাই হঠাৎ করে বিশ্বকাপের মতো আসরে এই দলগুলোর বিপক্ষে খেলার সময় নানা সমস্যা দেখা যায়। এই যেমন এবার আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম কোনো ওয়ানডে খেললাম। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর আমরা কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাইনি। চার বছরে যদি কোনো দলের সঙ্গে মোটে একটি ম্যাচ খেলেন আপনি, ভালো ফলাফল আশা করাটা বোকামি। তবুও আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে করতে হবে, খেলায় উন্নতি আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’

পাঁচ ম্যাচ হেরে দেয়ালে পিঠ থেকে যাওয়া আফগানিস্তানের পরবর্তী প্রতিপক্ষ ভারত। কোহলি-রোহিতদের মোকাবিলা করতে আফগানদের অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হবে। আগামীকাল সাউদাম্পটনের রোজ বোলে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।